এফএনএস: কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ট্রলার ডুবির এ ঘটনায় নিখোঁজ থাকা আটজনের মধ্যে এ নিয়ে সাতজনের লাশ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে। কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, “গতকাল রোববার সকালে ও বিকালে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় জেলেরা মৃতদেহ পাঁচটি উদ্ধার করেছে।” নিহতরা সবাই সদর উপজেলার খুরুশক‚ল ইউনিয়নের বাসিন্দা। এর মধ্যে সকালে উদ্ধার করা হয়, পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে হোসেন আহমদ, মামুন পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আজিজুল হক, হামজার ডেইল এলাকার নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আবছারের মরদেহ। আর বিকালে উদ্ধার করা হয়েছে, পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে নাজির হোসেন (২৮) ও ছৈয়দ নুরের ছেলে নুরুল ইসলামের (৩৫) মরদেহ। এর আগে গত শনিবার বিকাল ও রাতে মো. আইয়ুব ও সাইফুল ইসলাম নামের আরও দুই জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে, পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শ গ্রামের সব্বির আহমদের ছেলে খোরশেদ আলম বাবু (২৮)। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামের মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় কোস্ট গার্ড সদস্য ও অন্য জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে আট জেলেকে উদ্ধার করলেও ১১ জন নিখোঁজ ছিল। পরে শুক্রবার রাতে সাগরে অবস্থানকারী বিভিন্ন ট্রলার নিখোঁজ থাকা তিন জেলেকে উদ্ধার করে। এর আগে মঙ্গলবার সদর উপজেলার খুরুশক‚লের জনৈক জাকির হোসাইনের মালিকাধীন এ ট্রলারটি ১৯ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। ফেরার সময় ট্রলারটি এই দুর্ঘটনার শিকার হয়। ট্রলারটি এখনও উদ্ধার হয়নি। স্বজনদের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন।