আশাশুনি প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলার কচুয়া খাল জলমহাল স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দখল করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ জুন’২০২২ তারিখে আশাশুনি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানা সরোজমিনে এসে সাইনবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে সরকারী সম্পত্তি দখলে নেন। কিন্তু ৭ জুন’২০২২ তারিখে কচুয়া গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর হোসেন এর ছেলে তোফায়েল আহম্মেদ, মেয়ে শামীমা সুলতানা ও শিরিন শাবানা এবং একই গ্রামের শাহাজান আলী সরদারের ছেলে মনজুরুল হক লাভলুসহ তাদের সহযোগিরা ঐ সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে উক্ত খালে জাল দিয়ে মাছ ধরার মাধ্যমে সরকারী নিয়ম অমান্য করে পূনরায় দখল নেয়। জানাগেছে, কচুয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ১৮৪৮ দাগের ৪.৯৬ একর সম্পত্তি কচুয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ১৪২৮, ১৪২৯ ও ১৪৩০ সনের জন্য ইজারা পায়। সে মোতাবেক গত ১০ ফেব্র“য়ারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানার নির্দেশে বুধহাটা ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন সরোজমিনে এসে ঐ সমিতিকে দখল বুঝে দেন। কিন্তু স্থানীয় ঐ প্রভাবশালীদের দাপটের জন্য ঐ সমিতির সভাপতি ইয়াছিন আলী সরদার উপরোক্তদের বিরুদ্ধে গত ১১ ফেব্র“য়ারী ৪৫৬ নং সাধারন ডায়েরী ও ১৪ ফেব্র“য়ারী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর ৫ জুন’২২ সহকারী কমিশনার ভূমি সাইনবোর্ড স্থাপন করার মাধ্যমে সরকারের অনুকূলে দখল নেন। কিন্তু ঐ দখলের তোয়ক্কা না করে অবৈধ দখলদাররা ৭ জুন ঐ সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে দিয়ে পূনরায় অবৈধভাবে খালে মাছ মারেন। এব্যাপারে জানার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি গুরত্ব সহকারে বিবেচনার মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের মাধ্যমে প্রকৃত ইজারাদারদের দখল বুঝে দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন কচুয়া মৎস্যজিবী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ।