এফএনএস স্বাস্থ্য: সুস্থতার বিশাল একটি অংশ নির্ভর করছে অভ্যাসের ওপর। ভালো অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে সুস্থতার অনেক কিছু। রোজকার জীবনের কিছু বাজে অভ্যাস আপনার কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
সেলফ মেডিকেশন
সেলফ মেডিকেশন আমরা সবসময় করি। ক্লান্তি, দুর্বলতা, জ¦র, ঠান্ডা, সর্দি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই নিজেরাই ওষুধ কিনে নেই। এই সেলফ মেডিকেশন খুব বাজে। অনেক সময় প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ কিডনি, পেটের সমস্যা বাড়ায়। তাই সেলফ মেডিকেশন নয়। সচেতন হোন। ওষুধ সম্পর্কে জানুন ও নিজের স্বাস্থ্য দুর্বলতার লক্ষণ বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দেরি করে খাওয়া
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই-আড়াই ঘণ্টা আগে খেতে হয়। কিন্তু আমাদের জীবনের চাপে দেরি করে অনেকেই খেয়ে থাকেন। আর দেরি করে খেলে শরীর কোনো রুটিনে অভ্যস্ত হয় না। আর খেয়েই যখন ঘুম দেন তখন বিপাক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
বাইরের খাবার বেশি খাওয়া
খাবার সচরাচর ঘরেই খাওয়া ভালো। কিন্তু আমিরা বাইরের খাবার খাই। এটা অনিয়মিত। ধরুন আজ আপনি কোথাও স্যুপ খেলেন। সেখানে খাবারের পুষ্টিগুণ একরকম। অন্যদিন প্রচুর ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন বিরিয়ানি খেলেন। আবার কোনোদিন সালাদ খেলেন। আপনার খাদ্যাভ্যাসে এগুলো অনিয়মিত হয়ে থাকে। আর এই অনিয়মিত অভ্যাসগুলো আপনার শরীরে ক্ষতি করে। আপনি নিজেও জানেন না খাদ্যপুষ্টি আপনাকে সুস্থ করছে কি-না। তাই ঘরে রান্না করা খাবার খাওয়াই ভাল।
শরীরচর্চা না করা
জিমে গেলেই শরীরচর্চা হয় এই ধারণাই ভুল। আপনি যদি বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যান সপ্তাহে একবার হলেও তাহলে দেখা করার সুযোগ হয়। আবার আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটেন বা সকালে উঠে স্ট্রেচিং করেন তাহলেও কিন্তু অনেকটুকু অ্যাক্টিভ থাকা হয়৷ শরীরচর্চা করলে মাসল মেমরি বাড়ে ও মস্তিষ্ক সহজে দুর্বল অনুভব করে না। আর তাছাড়া ব্যায়ামের অনেক ধরন আছে। সেগুলো জেনে বা পরামর্শ অনুসরণ করে ব্যায়াম করলেও লাভ হবে।
কম ঘুম
অনিয়মিত ঘুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনেকে কাজের চাপে ঘুমান কম। সপ্তাহের শেষদিনে হয়তো একটু ঘুমান। তখন বেশি ঘুম। এভাবে আস্তে আস্তে মানসিকভাবেও দুর্বলতা কাজ করে। এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয়৷ রাতে একটা রুটিন মেনে ঘুমান। ভোরে ওঠার চেষ্টা করুন। ঘুমের সময়টাই জরুরি। দিনের ঘুম ভালো নয়। এ নিয়ে অনেক গবেষণা বা আলোচনাও রয়েছে।
কম পানি পান
রোগের ঝুঁকি বাড়ার আরেকটি বড় কারণ কম পানি খাওয়া। আপনি যখন পানি কম পান করবেন তখন শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ হবে না। এমনকি আপনার শরীরে উৎপাদিত দূষিত পদার্থও বের হবে না। আরেকটি সমস্যা হলো, খাবারের সঙ্গে যে পুষ্টি উপাদান শরীরে সরবরাহ হতো তার গতিও ব্যাহত হবে। এগুলো আপনার শরীরে অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যা এরমধ্যে সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য। সূত্র: হেলথইন