কপিলমুনি প্রতিনিধি \ কপিলমুনিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিটের স্বীকার আলেয়া বেগম (৩৫) এর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার এক দিনের মাথায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানাগেছে। সর্বশেষ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহার কৃত আসামীকে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে পাইকগাছা উপজেলার মামুদকাটী গ্রামে। থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মামুদকাটি গ্রামের তোতা গাজীর পুত্র মফিজুল গাজী (৪৫) ও একই এলাকার মৃত্যু মোজাম সরদারের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা আলেয়া বেগমের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এমতাবস্থায় বুধবার (২৮ জুন) সকালে জমির আইল সীমানা বরাবর থাকা একটি কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ মফিজুল গ্রুপ আলেয়াকে দোষারপ করে তার স্ত্রী জেসমিন বেগম (৩৬) ও তোতা গাজীর স্ত্রী আবিরণ বেগম (৬২) আলেয়াকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে। এতে করে সে মারতœক ভাবে আহত হয়।আহতকে তার পরিবারের অন্য সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে পাইকগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রির্ফাড দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ঐ দিন রাত আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়। উক্ত ঘটনায় মৃতের চাচা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার সূত্র ধরে থানা পুলিশ ময়না বেগম (৩৬) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, মৃতের সুরত হাল ও ময়না তদন্তের পর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ঐ রাতেই মামলার ২ নং আসামী ময়না বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।