শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

কপিলমুনিতে শতবর্ষী রেনুকা মন্ডলের যাতায়াতের রাস্তায় ঘেরাবেড়া ঃ মৃত্যুের পর তার লাশের সৎকার নিয়ে সংশয়

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

কপিলমুনি প্রতিনিধি ॥ কপিলমুনিতে শতবর্ষী রেনুকা মন্ডল মৃত্যুের পর তার লাশের সৎকার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন। কারণ তাদের ৭ থেকে ৮ যুগ ধরে চলাচলরত রাস্তাটি ইটের খাড়ি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ শরীক ভূদেব গং। জীবনের শেষ মূর্হূতে দাঁড়িয়ে তিনি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। তিনিতো বর্তমান সমাজের কাছ থেকে কখন এমনটি আশা করেননি। তাই তিনি আবারো ফিরে যেন চান অতিথের সোনালী দিন গুলোতে। এমন আক্ষেপের সুরে কথা বলতে বলতে তার ছানা বড়া চোখ দিয়ে অঝরে পানি ঝরতে থাকে। তার জীবনে এমন একটি দিন দেখতে হবে তা তিনি কখনও আশা করেননি। এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামে। খবরের সন্ধানে শনিবার সকালে ঐ বাড়ীতে সরেজমিনে হাজির হলে রেনুকা মন্ডল তার বেকুলতা আর্তির বিষয়টি এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন। একপর্যায়ে তিনি তার বাড়ীর পারিপার্শ্বিক অবস্থান ও চলাচলের বন্ধ রাস্তাটি ঘুরে দেখান। জানাগেছে, রেনুকা মন্ডলের স্বামী মৃতঃ বিমল কৃষ্ণ মন্ডল ও মৃতঃ অমল মন্ডলের পুত্র ভূদেব মন্ডল গং একই শরীকদ্বয়। উভয়ে পূর্ব পুরুষ থেকে একই খতিয়ানের একই দাগে এজমালিতে বসবাস করে আসছে। তন্মধ্যে ভূদেব গং পূর্ব পুরুষ থেকে বহালরত সকল শরীকগণদের চলাচলের রাস্তার সম্মুখ সমারে বসবাস করছেন। এমতাবস্থায় পরিবারের মধ্যে খুঁটি নাটি বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পূর্বপুরুষ থেকে তাদের চলাচলের রাস্তাটি গায়ের জোরে ইটের খাড়ি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে রেনুকা মন্ডলসহ অপর শরীক পরিতোষ মন্ডলরা একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সৃষ্ট বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার সরেজমিনে তদন্ত করে ভুক্তোভোগীদের অনুকূলে প্রতিবেদন প্রদান করেছেন। আবার বিষয়টি নিয়ে একাধীক বার বসাবসি করলেও চলাচলের রাস্তাটি অবমুক্ত করণে ভূদেব গংদের প্রভাবের কাছে আজও অধরা থেকে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতে শতবর্ষী রেনুকা মন্ডল মূত্যের পর তার লাশ সৎকারের বিষয়টি নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। পরিশেষে বিষয়টি নিয়ে তিনি উপজেলা প্রশাসন ও সমাজের বিবেকবান ব্যাক্তিবর্গের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে ভূদেব মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটু ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে। উক্ত বিষয় সম্পর্কে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার জোয়ার্দ্দার বলেন, এ বিষয়ে আমার দপ্তরে অভিযোগ হলে আমি সরেজমিনে গিয়ে রেনুকা মন্ডলের রাস্তা বের করে দেওয়ার জন্য ভুদেব গং দের বলেছি। কিন্তু তারা বিষয়টি কোন ভ্রুক্ষেপ করেনি। রেনুকা মন্ডলদের আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি। তবে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধের বিষয়টি অত্যান্ত অমানবিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com