কপিলমুনি প্রতিনিধি \ কপিলমুনি ইউনিয়নে সুষ্ঠু বন্টনে সরকার নির্ধারিত মূল্যে টিসিবির পণ্য পেয়েছে ২১৬২ জন পরিবার। নতুন বছরের ১ ও ২ জানুয়ারী কপিলমুনিতে এ পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। দ্রব্যমূল্যে উর্দ্ধগতির বাজারে সরকার প্রদত্ত খোলা বাজারে টিসিবির এসব পণ্য বিক্রয়ে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ। তবে পাইকগাছা উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্ধ একেবারে অপ্রতুল। তাই বরাদ্ধ বাড়ানোর পাশাশি ডিলার বাড়ানোর বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল। প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ও সুপারিশকৃত টিসিবির ডিলার ভূদেব চন্দ্র মন্ডল রবি ও সোমবার উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের ২১৬২ জন পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত পাবলিক প্লেজে উন্মক্ত ভাবে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এবার তৈল, ডাউল ও চিনি মিলে একটি প্যাকেজ আওয়তাভুক্ত। যার মূল্যে নির্ধারণ করা ছিল ৪২০ টাকা করে। কপিলমুনি হাসপাতাল বিপরীতে অবস্থিত একটি গোডাউনে টিসিবির এসব মালামাল ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয় করা হয়। এ ব্যাপারে বি আর জেনারেল ষ্টোর এর পক্ষে ডিলার ভূদেব চন্দ্র মন্ডল বলেন, এবার জন প্রতি একটি প্যাকেজের মূল্য নেওয়া হচ্ছে ৪২০ টাকা করে। এরমধ্যে ভোজ্য তৈল ২ লিটার, যার মূল্য লিটার প্রতি ১১০ টাকা করে ২২০ টাকা, মুসুরির ডাউল ২ কেজি, যার মূল্য কেজি প্রতি ৭০ টাকা করে ১৪০ টাকা, চিনি ১ কেজি, যার মূল্য ৬০ টাকা। বরাদ্ধের বিপরীতে যতটুকু নিত্য পণ্য আমরা পেয়ে থাকি সেটাই ভোক্তা পর্যায়ে সরকারী নিতীমালার আলোকে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রয় করে থাকি। কপিলমুনি কেন্দ্রিক টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের পূর্বে পণ্যের সঠিক হিসাব ও সুষ্ঠু বন্টনের তদারকি করেন, উপজেলা পলী দারিদ্র বিমোচন ট্যাগ অফিসার গাজী আলাউদ্দীন ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ তোফায়েল আহমেদ।