এফএনএস স্পোর্টস: কবজির চোটে দক্ষিণ আফ্রিকার সফর থেকে স্টিভেন স্মিথের ছিটকে যাওয়ার খবর পুরোনো। তবে প্রশ্ন উঠছিল চোট পাওয়ার সময়কাল নিয়ে। সেই কৌতূহল এবার নিজেই মেটালেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান জানালেন, অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টেই এই চোটে পড়েন তিনি। পরে ব্যথা সয়ে ইনজেকনশন নিয়ে খেলে যান পরের ম্যাচগুলিতে। বিশ্বকাপের আগে ফিট হয়ে উঠবেন বলেও আশাবাদী ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের অস্ট্রেলিয়া দলে স্মিথকে শুরুতে রাখা হলেও পরে ছিটকে পড়েন তিনি। দল থেকে জানানো হয়, বাঁ কবজির চোটে ভুগছেন এই ব্যাটসম্যান। অ্যাশেজে তার চোট পাওয়ার দৃশ্য এমনিতে ধরা পড়েনি ক্যামেরায় বা জানা যায়নি কিছুই। ৫ টেস্টের সবকটিতে খেলেছেন তিনি। তাই তার চোট নিয়ে জাগছিল সংশয়। এবার ফক্স ক্রিকেটে কথোপকথনে তা খোলাসা করলেন স্মিথ। “এটা হয়েছে লর্ডস টেস্টে। ঠিক কোন সময়ে হলো, তা জানি না নিজেও। তবে আমরা যখন মাঠে ছিলাম (ফিল্ডিংয়ে), তখনই হয়েছে। রাত হওয়ার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি। পরে মনে হলো, ‘কী করে ফেলেছি আমি, জায়গাটা তো বেশ ফোলা!’ পরের ম্যাচটি ওভাবেই খেলি আমি এবং ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের আগে কর্টিজন (ইনজেকশন) নেই।” “অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার পর মনে হলো, এখনও পুরোপুরি ঠিক হইনি। এখনও অনেক কিছুই ঠিকঠাক করতে পারছি না। পরে আরেকটি স্ক্যান করালাম। এতে টেন্ডনে ছোট্ট ‘টিয়ার’ ধরা পড়ল, আরও দু-একটি ব্যাপার আছে।” অ্যাশেজের ওই লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন স্মিথ, দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৩৪। দলের জয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ হন তিনি। এরপর সিরিজে তার সেরাটা আর দেখা যায়নি। পরের দুই টেস্টে চার ইনিংসে কোনো ফিফটি করতে পারেননি। শেষ টেস্টে ওভালে অবশ্য ৭৪ ও ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতে না পারলেও বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন বলেই আশা স্মিথের। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও খেলতে আশাবাদী তিনি। চোটে ছিটকে না পড়লে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই সিরিজে একটি নতুন ভ‚মিকায় দেখা যেত স্মিথকে। টি-টোয়েন্টিতে খেলতেন তিনি ওপেনার হিসেবে। প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি তা নিশ্চিত করেছিলেন দল ঘোষণার সময়। গত বিগ ব্যাশে ওপেন করতে নেমে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে তিনি চমকে দেন। ৫ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরিসহ ৩৪৬ রান করেন ৮৬.৫০ গড় ও ১৭৪.৭৪ স্ট্রাইক রেটে। এমনিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্মিথের টি-টোয়েন্টি রেকর্ড খুব সমৃদ্ধ নয়। সবশেষ ২৩ ইনিংসে ফিফটি করতে পারেননি। এই সংস্করণে তার দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। তবে বিগ ব্যাশে নিজেকে নতুন রূপে চেনানোর পর জাতীয় দলের কোচের সঙ্গে ওপেন করা নিয়ে কথা হয়েছিল বলে জানালেন তিনি। “অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের (কোচ) সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলেছিলাম আমি। সে বলেছিল, নিজের দাবি জানানোর আরও সুযোগ আমি পাব। এই ভ‚মিকা (ওপেনিং) অনেকটা স্বপ্নের মতো। টি-টোয়েন্টিতে সবাই ওপেন করতে চায়।” “এখানে খুব বেশি জবাবদিহিতার ব্যাপার নেই, ¯্রফে মাঠে নেমে নিজের শট খেলতে হয়। প্রথম ৬ ওভারে কেবল ২ জন ফিল্ডার বৃত্তের বাইরে থাকে। যদি শুরু থেকে ছন্দ পাওয়া যায় এবং (পাওয়ার প্লে শেষে) ফিল্ডার ছড়িয়ে পড়ার আগেই থিতু হওয়া যায়, তাহলে তা ব্যাট করার দারুণ সময়।”