দৃষ্টিপাত ডেস্ক \ পদ্মা পাড়ের জেলা শরীয়তপুরের শরতের আকাশ গতকাল আরও অনেক অনেক শ্বেতশুভ্র, আলোক বিচ্ছুরনের শোভা বর্ধন করেছিল। উৎসব, উচ্ছ¡াস আর আনন্দ আয়োজন সেই সাথে অপেক্ষা এবং প্রতিক্ষার প্রহর ছিল। অবশেষে দুপুর গড়িয়ে পড়ন্ত সূর্যের অস্পষ্টতার জমকালো মন মেধার সম্মিলন “এবং একটি ছবি” কাব্যগ্রন্থের জনক মানবিক বিচারক কবি শেখ মফিজুর রহমানের অনবদ্য সৃষ্টির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ছোয়া। একজন কবির সৃষ্টি এবং কবির প্রতি কতটুকু দরদ, ভক্তি এবং আন্তরিকতা তা মুহুর্তে হৃদায়ঙ্গম হয়েছে “এবং একটি ছবি” কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে। একজন বিচারক আবার তিনিই কবি এ দুইয়ের সম্মিলন কেবল মানবিকতা এবং অন্তদৃষ্টির মহত্বের জয়গান গেয়ে চলে তার অনবদ্য প্রতিমুখ বিচারক কবি শেখ মফিজুর রহমান এমনই মন্তব্য, অনুভূতির বহি:প্রকাশ ছিল প্রকাশনা উৎসবে। এখানেই শেষ নয় কবিতা তো অনেকে লেখে কিন্তু কবি কি সকলে? কবিকে সত্যিকার কবি হতে হয়, আপদমস্তক কবি স্বত্ত¡া ধারন করতে হয়, যা কেবল পাঠকরাই অনুভব করেন মোড়ক উন্মোচনে অগনিত পাঠকের মুখায়ব হতে এমনই উচ্চারিত হয়। আর এমনটি বিচারক কবি শেখ মফিজুর রহমানকে করেছে অনন্য, অসাধারন, মানবিক এবং আধুনিক কবি, দেশের অন্যতম আধুনিক কবি শেখ মফিজুর রহমান উপস্থিত অতিথি, পাঠক সহ সুধীদের উদ্দেশ্যে অনুভূতি এভাবেই ব্যক্ত করলেন। মানবিকতার ও মানবতার ইতিহাস এই উপমহাদেশে অতি পুরাতন। আর এই ইতিহাস শুরু হয়েছে কবিতা দিয়েই। কবি ফিরে এলেন অতীতে, ঐতিহাসিকের ছোয়ায় বলে চললেন, আজ হতে হাজার বছর আগে মধ্যযুগের কবি দ্বিজ চন্ডী দাস বলেছেন, শোন হে মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নয়। অতি মহামূল্যবান উক্তি যা মানবকুল এবং মানব সভ্যতাকে জাগরুক রাখতে সহায়তা করেছেন যা উপস্থিতিদেরকে স্মরন করিয়ে দিয়ে কবি নিজেকে সত্যিকার অর্থে মানবিক কবি হিসেবে নিজের অজান্তেই প্রতিষ্ঠিত করলেন। সৃষ্টি সুখের উলাস নিশ্চই কবিকে আবেগী এবং অধিকতর দায়িত্বশীল করতে ভুলেনি তাই তিনি অবলিলায় বললেন, কবিতা কখন লিখি এই প্রশ্ন করেন অনেকেই। মূল বিষয় হলো সদিচ্ছা, সময়টা বের হয়ে যায়। কবিতা মূলত স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে হয়ে চলে আসে। দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়ের ভাষায় ঐ সিন্ধুর ওপারে হতে কি সুন্দর সংগীত ভেসে আসে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় যে ঢেউয়ের মত ভেসে আসে। কবি যখন অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন পুরো অনুষ্ঠানেস্থলে তন্ময় হয়ে তা শুনছিলেন এবং কবির অনুরাগের ছোয়া ফুটছিল, যেন পুরো অনুষ্ঠান স্থল সৃষ্টি সুখের উলাসে ভাসছিলো। কবিকে পেয়েছেন, কবির মনোমুগ্ধকর কথা শুনছেন, কবির সৃষ্টি এবং একটি ছবি” কাব্যগ্রন্থ সম্মুখ পানে, এমন এক আনন্দ আয়োজন, মহেন্দ্রক্ষন সাহিত্য সংস্কৃতির পরিচ্ছন্ন পরিবেশ কবি ভক্তরা আবদার জানালেন কবির মুখে কবিতা আবৃত্তি। কবি মুহুর্তে সায় দিলেন এবং প্রথম কাব্যগ্রন্থ নিরন্তর প্রতীক্ষার কবিতা আমার রবীন্দ্রনাথ কবিতা আবৃত্তি করলেন। উচ্ছ¡াসে, প্রশংসায় ভাসলেন কবি শেখ মফিজুর রহমান, কবি সৃষ্টিতে বর্ণিল, স্বরন্বীয় সেই সাথে প্রকাশনা উৎসবকে ভিন্নতায় আনতে কবি ভক্তরা রং বেরং এর পোশাক পরিধান করে দৃশ্যতঃ কবি সব দেশের, মানবতার সমাজ সংস্কারের প্রমান করতে চাইছেন এবং তা যথার্থ। খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ ইয়াসমিন নাহারের মনোমুগ্ধকর সাবলীল অসাধারন সঞ্চালনা উপস্থিতিদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) স্বপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কবি শেখ মফিজুর রহমানের সহ ধর্মিনী রুখসানা ইসলাম শিল্পী। শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালেহুজ্জামান, সাতক্ষীরা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ হুমায়ুন কবীর, শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল হক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেহেনা আক্তার, বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন নেজারাত মোঃ সালাহউদ্দীন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক, বিজ্ঞ পিপি, জিপি, পৌর মেয়র প্রমুখ। পেশাদার আবৃতি শিল্পির মতোই কবির কবিতা আবৃত্তি করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেহেনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী জজ ইয়াসমিন নাহার, সহকারি অধ্যাপক মন্ময় মনির।