রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

কম্বোডিয়ায় চীনা নৌঘাঁটি, বাড়ছে উদ্বেগ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এফএনএস বিদেশ : বৈশ্বিক রাজনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। কম্বোডিয়ায় চীনের নির্মিতব্য নৌঘাঁটিই হতে পারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেইজিংয়ের আধিপত্যবাদী স্বার্থ প্রতিষ্ঠা ও পূরণের সর্বশেষ উদাহরণ। চীন এবং কম্বোডিয়া উভয় দেশই তাদের দক্ষিণ অংশে বেইজিং-অর্থায়নকৃত ‘রিম নৌ ঘাঁটি’র আপগ্রেডের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে। সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রিম নৌ ঘাঁটিতে এই প্রকল্পের সূচনা। কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, যে বন্দরটি সংস্কারের জন্য চীন থেকে সহায়তা ব্যবহার করবে। তবে পশ্চিমারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, বেইজিং থাইল্যান্ডের উপসাগরে একটি সামরিক ফাঁড়ি তৈরি করতে চাচ্ছে। জাকার্তা পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্বোডিয়াকে চীনের পছন্দের পেছনে মূল কারণগুলো হলো কম্বোডিয়ায় অগণতান্ত্রিক হুন সেন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের রাজনৈতিক পটভ‚মি, সেইসঙ্গে চীনা বিনিয়োগ এবং ব্যবসার জন্য উপযুক্ত অর্থনৈতিক পটভ‚মি। এ ছাড়া ঐতিহাসিক পটভ‚মিও চীনের পক্ষে রয়েছে। কারণ দেশটির ভিয়েতনামের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের দ্ব›েদ্ব তারা বেইজিংয়ের প্রতিদ্ব›দ্বী। কম্বোডিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কও চীনের প্রভাবকে কেন্দ্রীভ‚ত করতে অবদান রেখেছে। কম্বোডিয়া-মার্কিন সম্পর্কের একটি সা¤প্রতিক উদাহরণ হলো ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে ‘আঙ্কোর সেন্টিনেল’ যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করা। এ ছাড়া ২০১৭ সালের শেষের দিকে কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি (সিএনআরপি) ভেঙে দেওয়া। জাকার্তা পোস্ট জানিয়েছে, চীনা হস্তক্ষেপের কারণে কম্বোডিয়া-ভিয়েতনাম সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চীন হলো কম্বোডিয়ার আমদানির বৃহত্তম উৎস। ২০২০ সালে মোট আমদানির ৩১ শতাংশ হয়েছে সেখান থেকে। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়ার বৃহত্তম রফতানির উৎস। একই বছরে সমস্ত রফতানির ২৫.২ শতাংশ রফতানি হয়েছে দেশটিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কম্বোডিয়ার সম্পর্কের অবনতি এবং ভবিষ্যতে আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং ওয়াশিংটনের রপ্তানি বিধিনিষেধের কারণে কম্বোডিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। যার ফলে কম্বোডিয়ার সম্পদের ওপর চীনা বিনিয়োগকারীদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী হবে। দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা আরও বাড়াতে এবং আসিয়ান দেশগুলোর সার্বভৌমত্বকে চ‚র্ণ করতে কম্বোডিয়ায় বিনিয়োগের ফলে আরও বেশি সংখ্যক ঘাঁটি তৈরি হবে। এএনআই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com