কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি \ কয়রায় সুন্দরবনের বনদস্যু, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সুন্দরবনের বনদস্যু, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। সুন্দরবনে জলদস্যু, বনদস্যুদের বিষয়ে কয়রা থানা পুলিশের অবস্থান কঠোর এবং অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাকে আইনের আওতায় আনা হবে যে কোন মূল্যে। যারা জলদস্যু, বনদস্যুও সাথে জড়িত বা এই ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত এবং যে কয়েকজন ভূল পথে পা বাড়িয়েছেন তাদের জন্য আমার দ্বার খোলা। তারা যদি সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করতে চায়, সঠিক পথে আসতে চায় তাদেরকে স্বাগত জানাবো। মাদক, ইভিটিজিং ও চোরা কারবারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ জনগনের সেবায় সবসময় নিয়োজিত। শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় কয়রা থানা পুলিশের আয়োজনে থানা চত্বরে সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি। কয়রার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর সন্তোস প্রকাশ করে তিনি বলেন, কোন সাধারণ সেবাগ্রহীতা মানুষ পুলিশ দ্বারা হয়রানীর শিকার হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ সময় পুলিশ সুপার আরও বলেন, আমি যতদিন এ জেলায় কর্মরত থাকব ততদিন সকলের সঙ্গে মিশে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে ভুমিকা রাখব। জনগনের জন্য আমার দরজা ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকবে। শুধু কাঠের দরজা খোলা থাকবে না পুলিশ সুপারের মনও খোলা থাকবে সারাক্ষণ। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ জি, এম ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশ ও মত বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম মাওলা বকস, কয়রা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শরিফুল আলম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হাসান, আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান বেল্টু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব নুরুল আমিন বাবুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রার ছাত্র প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী, কয়রা বাজার কমিটির সভাপতি সরদার জুলফিকার আলম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াছাদ আলী, সাংবাদিক আলহাজ্ব সদর উদ্দীন আহমেদ, উপজেলা ইমাম পরিষদের মাওলানা আয়ুব আলী, মাওলানা মোঃ ওয়ালিউল্ল্যাহ, মাওলানা আওছাফুর রহমান, মাওলানা মতিউর রহমান, মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইউনুছ আলী, শিক্ষক মাওলানা হাবিবুল্ল্যাহ, সাইফুজ্জামান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা মোহাসিন আলম প্রমুখ সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।