কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধর্ষন মামলার তিন স্বাক্ষী ও এক ইউপি সদস্যসহ ৬ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে মামলাটি সাতক্ষীরা পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। ধর্ষন মামলাটি উঠিয়ে নেওয়ার অপকৌশল হিসেবে ওই ধর্ষন মামলার আসামীর ভাই রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে বলে এলাকাবাসি জানায়। শুক্রবার বিকালে উপজেলার ১নং জয়নগর ইউনিয়নের গাজনা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাজনা গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির স্ত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে গর্ভপাত ঘটায় একই গ্রামের মৃত ফকির আহম্মেদ মোড়লের ছেলে রকিবুল ইসলাম ওরফে ফুল (৫০) নামে এক লম্পট। এ ঘটনায় ধর্ষনের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গত ২০২৪ সালের ১০ জুলাই কলারোয়া থানায় (ধারা—৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন—২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)তৎসহ ৩১৩ পিনাল কোর্ড—১৯৮০) একটি মামলা দায়ের করেন। ধর্ষন মামলাটি যাতে বাদি ওই গৃহবধূ প্রত্যাহার করে নেয় তারই অপকৌশল হিসেবে আসামীর ভাই রফিকুল মোড়ল বাদি হয়ে ঘটনার তারিখ গত বছরের ১৪ জুন দেখিয়ে গত ২ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ৪ নং আদালতে মৎস্য ঘের লুট, চাঁদাবাজ,হত্যার হুমকী, আঘাত, চুরিসহ বিভিন্ন ধারায় ৬ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ বুর্যে অব ইনভিস্টিগেশন—এ (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার আসামীরা হলেন— গাজনা গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ধর্ষন মামলার স্বাক্ষী রবিউল ইসলাম (৩২) ইছাক আলী মোড়লের ছেলে ধর্ষন মামলার স্বাক্ষী হোসেন আলী মোড়ল (৫৫), ফজলুর রহমানের ছেলে ধর্ষন মামলার স্বাক্ষী তকিবুর রহমান (৪২),তকিবুর রহমানের ভাই আব্দুল আলিম (৪৩) ও ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম (৫০)। আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, মামলার বাদি রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই রকিব দুই জনে গাজনা গ্রামের সোনাতলা বিলে ১০ বিঘার একটি মৎস্য ঘেরে সাদা মাছ চাষ করে আসছেন। ১নং আসামী আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সকল আসামীরা তাদের নিকট ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে আসামীরা তাদের ঘেরের মাছ লুট করে নিয়ে যাবে বলে হুমকীও দেয়। এক পর্যায়ে তারা ৩ লাখ টাকা চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সকল আসামীরা যোগ সাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১৪/৬/২০২৪ তারিখে আনুঃ ৮ টায় নছিমন ও ভ্যান যোগে বড় দড়া জাল নিয়ে মাছের ঘেরে প্রবেশ করে। এ সময় আসামীরা তার ভাই রকিবকে বেঁধে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৪১ মন মাছ, ২টি স্যালো মেশিন,১টি িউবওয়েল লুট ও চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনু মানিক মূল্য ৪ লাখ ৪ হাজার টাকা। স্থানীয় আফসার মোড়ল, ইসমাইলসহ অর্ধশত নারী পুরুষ জানায়, মামলার বাদীদের সোনাতলা বিলে ১০ বিঘার কোন মাছের ঘের নেই। তাদের ৩—৪ বিঘার একটি ঘের আছে। তাদের আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগের কোনটি সত্যতা নেই। এটা সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বাদীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষন মামলাটি যাতে উঠিয়ে নেই। তারই অপকৌশল হিসেবে ওই মামলার তিনজন স্বাক্ষী ও এক ইউপি সদস্যসহ ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে বলেও তারা জানান।