কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি’র অফিসে হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুরসহ বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের ১০ নেতাকমীর্কে রক্তাক্ত জখমসহ গুরুতর আহত করেছে। রোববার সকাল ৮টায় উপজেলার সীমান্তবতীর্ ৫নং কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড চারবাড়ি স্কুল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ওই এলাকার হায়দার আলীর ছেলে বাবলু হোসেনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত অন্যান্যরা হলেন— চারাবাড়ি এলাকার রমজান আলীর ছেলে ইউনিয়ন কৃষক দলের আহবায়ক রুপচাঁদ আলী (৫০), রুপদান আলীর ছেলে চারাবাড়ি ওয়ার্ড কৃষক দলের আহবায়ক আবু রায়হান (৩২), নিছার আলীর ছেলে নয়ন (২৮), কামালউদ্দীনের ছেলে শফি (৩৩)। কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি কৃষকদল নেতা আবু রায়হান জানান, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের চারাবাড়ি ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া নামে পরিচিত। সম্প্রতি তাদের ইউনিয়ন সহ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কৃষক দলের কমিটির গঠন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চারাবাড়ি ৮নং ওয়ার্ডেরও কৃষক দলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপর থেকে আওয়ামীলীগের ইউপি সদস্য মুনছুরের নেতৃত্বে একদল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। একপর্যায়ে গত শনিবার ২১ ডিসেম্বর রাতে তারা ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক রুপচাঁদকে দলের কার্যক্রম ধীরে চালানের কথা বলে হুমকি প্রদর্শন করে। এমনকি তাকে ওই রাতেই মারপিট করে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় ওই রাতেই একটি সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করেন। এরই জের ধরে রোববার সকাল ৮টায় মুনছুর মেম্বরের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী আজারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন তারিখ, জুলফিকার আলী, আলফা, জনাব আলী বিশ্বাসসহ ১৫/২০ জনের একটি দল অতর্কিতভাবে তাদের অফিসে হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর এবং তাকে সহ বিএনপি ও অংঙ্গ সংঘঠনের ১০ জন নেতাকমীর্কে এলোপাতাড়ি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম ও আহত করে। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাকমীর্রা তাদেরকে উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সহ—সভাপতি মুনছুর মেম্বর জানান, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। তবে শুনেছি সম্প্রতি জাহাঙ্গীর হোসেন তারিকের ছেলে জাকির হোসেন রুপার গহনা সহ কয়েকদিন আগে ধরা খেয়ে জেল হাজতে আছেন। জাহাঙ্গীরের সন্দেহ হয় বিএনপি কমীর্ নয়নসহ তার বন্ধুরা ওই গহনাসহ জাকিরকে ধরিয়ে দেয়। এরই জের ধরে গোলযোগের সৃষ্টি হয় বলে তার ধারনা।এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সামসুল আরেফীন জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।