কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও তালা —কলারোয়ার গণমানুষের নেতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, নামাজ রোজার মতই যাকাত আদায় করা একটি ফরজ ইবাদত। একজন মুসলমান হিসেবে নামাজ ও রোজার ফরজ বিধানকে আমরা সঠিকভাবে পালন করলেও যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। যাকাত হলো সম্পদের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধি অর্জন করার সর্বোত্তমপন্থা এবং এটা দরিদ্র ও হতবঞ্চিতদের হক। তিনি বলেন, এই হক তাদের কাছে নির্ধারিত নিয়মে পৌঁছানো জরুরি। পবিত্র কুরআনে যেখানে আল্লাহর পক্ষ থেকে নামাজের কথা বলা হয়েছে, সাথে সাথেই যাকাতের কথাও সেখানে বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে যাকাত প্রদানের ৮টি খাত রয়েছে। সুতরাং সম্পদশালী ব্যক্তিকে ঈমানদার হতে গেলে অবশ্যই তার সম্পদের যথাযথ হিসাব কিরে নির্ধারিত যাকাত দিতে হবে। যাকাত ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মধ্যেই আর্ত—মানবতার অর্থনৈতিক মুক্তি রয়েছে। আর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই যাকাতভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি সাহেবে নেসাবগনকে রমজানে যাকাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত বন্দিগীতে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান। মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কলারোয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত রমজান ও যাকাতের গুরুত্ব, তাৎপর্য শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কলারোয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ কামারুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. ছামিউল হক ফারুকী। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা জামায়াতে ইসলামী ইউনিট সদস্য মাওলানা ওমর আলী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ, প্রভাষক হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহজাহান কবীর, অধ্যক্ষ আশফাকুর রহমান বিপু, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য একেএম কুরবান আলী, মাওলানা আহম্মদ আলী, প্রভাষক আসাদুজ্জামান ফারুকী, এরশাদ আলী, জাহিদ হাসান মিঠু, পৌর আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলী বাবু, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি কলারোয়া শাখার ব্যবস্থাপক মুশফিকুল করিম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।