কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ার নিয়োগ বানিজ্যের টাকা দিয়ে স্কুলের টয়লেট নির্মান করতে রাজি না হওয়ায় সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার স্কুল চলাকালীন সময়ে উপজেলার ১নং জয়নগর ইউনিয়নের জয়নগর বাজার সংলগ্ন বদরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য রওশনের মধ্যস্থতায় প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে তালাবদ্ধ তালা খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্রীরা জানায়, সম্প্রতি তাদের স্কুলে কয়েকজন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। মঙ্গলবার স্কুল চলাকালীন সময়ে সহকারী কয়েকজন শিক্ষক প্রধান শিক্ষক রুহল কুদ্দুসের অফিস রুমে গিয়ে ওই টাকার মধ্য থেকে কিছু টাকা দিয়ে স্কুলের ছাত্রীদের জন্য একটি নতুন টয়লেট নির্মান করার দাবি জানায়। কারণ পুরানো টয়লেটের গন্ধে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কর্মচারী বসতে পারে না। এ প্রস্তাবে প্রধান শিক্ষক রাজি না হয়ে পাশে পুকুরের পানি শুকিয়ে গেলে পুরানো টয়লেট সংস্কার করতে চায়। এ নিয়ে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে কথাকাটাকাটিসহ উভয়ের মধ্যে উচ্চ বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বর রওশন আলী জানতে পেরে স্কুলে গিয়ে তাদের উভয় পক্ষের কাছে শুনে বুঝে টয়লেট করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন। তারা আরো জানান, প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক, কর্মচারীসহ স্কুলের স্টাফদের সাথে খারাব ব্যবহার করেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজে ছুটির আবেদন দিলে ছুটি মুঞ্জুর করেন না। এরপরেও যদি কোন কারণে স্কুলে আসা না হয় সেদিনের বেতন কেটে রাখেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদে কয়েকজন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। অথচ ওই সব টাকা সবই প্রধান শিক্ষকের কাছে রয়েছে। স্কুলের কোন উন্নয়ন মুলক কাজ করেন না তিনি। দীর্ঘ দিন স্কুলটির দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। এমনি স্কুলের প্রধান ফটকের গেটটির জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া স্কুলে নেই কোন শহিদ মিনার, জরাজীর্ণ কয়েকটি ভবন রয়েছে তারও কোন উন্নয়ন হয়নি দীর্ঘ দিন বলে তারা অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ইউপি মেম্বর রওশন আলী বলেন, স্কুলে তালা মারা বিষয়টি আমি জানিনা। তবে একজন শিক্ষকের ছুটি না দেওয়ায়, স্কুলের টয়লেট নির্মানকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের সাথে প্রধান শিক্ষকের বাগবিতন্ড হয়েছে। তবে বিষয়টি নিস্পত্তি হয়ে গেছে। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমার অফিস কক্ষ তালাবন্ধ করে রাখার ঘটনাটি সত্য নয়, তার কাছে সহকারি শিক্ষকরা স্কুলে একটি নতুন টয়লেট স্থাপনের জন্য প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি ওই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পুরাতন টয়লেটটি সংস্কার করতে চায়। এ নিয়ে সহকারী শিক্ষকদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এর বেশী নয়।