কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি প্রণোদনায় উপজেলার ১১ নং দেয়াড়া ইউনিয়নের ছলিমপুরের কয়েকজন কৃষক সূর্যমুখী ফুল চাষ শুরু করেছেন । তারা এ বছর সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনের আশা করছেন। কলারোয়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর কলারোয়া উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে কম বেশি সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। এ বছর পরীক্ষা মুলক ভাবে কয়েক বিঘা জমিতে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ-সার দেওয়া হয়েছে। সূর্যমুখী চাষের ৯০-১০৫ দিনের মধ্যে বীজ ঘরে তোলা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যায় ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ। যার বাজার মূল্য ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এরইমধ্যে সূর্যমুখী গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসুরা লোকজন দল বেঁধে আসেন সূর্যমুখী বাগান দেখতে। চারদিকে শুধু হলুদের সমারোহ ,হলুদ রঙের ফুলের অপরূপ দৃশ্য। ফুলে ফুলে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছি। ছলিমপুরের কৃষক ওহাব আলী সূর্যমুখী ফুলের চাষি। তিনি গনমাধ্যমকে জানান, আগে তিনি তার জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করতেন। এ বছর কৃষি অফিসারের পরামর্মক্রমে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর চাষ করছেন। সূর্যমুখী চাষে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি। এদিকে জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি বাজারের আব্দুর রব বলেন, তিনি এ বছর পরীক্ষামুলকভাবে তার বাড়ির সামনে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। ওই জমিতে যে পরিমান টাকা খরচ হয়েছে, তার তিনগুন লাভমান হবেন বলে তিনি আশা করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশ শেখর দাস জানান, প্রথমবারের মতো এ বছর সরকারের অর্থায়নে পৌর এলাকাসহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী বীজের তেল সরিষার তেলের চেয়ে অনেক ভালো এবং হার্টের জন্য খুব উপকারী।