কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের ৭ জনকে বেঁধে অভিনব কায়দায় ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (১৯ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার কলারোয়া-টু-ধানদিয়া চৌরাস্তা সড়কের পাশে বাটরা গ্রামের আব্দুস সামাদ মোড়লের বাড়িতে। এ সময় ডাকাতরা নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা,দুই জোড়া সোনার কানের দুল, একটি সোনার আংটি ও একটি সোনার টিকলি লুট করে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আব্দুস সামাদ মোড়লের ছেলে সবুজ হোসেন জানান, ওই দিন গভীর রাতে আমার আম্মা প্রকৃতির ডাকে বাইরে যায়। বাইরের কাজ সেরে ঘরে ফেরার সময় উঠানের মাঝখানে আসলে ৭/৮ জন ডাকাত আমার মাকে ধরে মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা ঘরের বারান্দায় প্রবেশ করে আমার পিতাকে ডাক দিলে পিতা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় তাদের মুখে সব কাপড় বাঁধা। এ সময় আমার পিতা ডাক চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও আটকে মুখ বেঁধে ফেলে মারপিট শুরু করলে আমার পিতা বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। এরপর আমার ঘরের দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকতে শুরু করলে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি দরজা না খুলে চিৎকার দেওয়ার চেষ্ঠা করলে আমার পিতাকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে আমি ঘরের দরজা খুলে দিলে তারা আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রী, আমার বোন, মা ও পিতাসহ বাড়ির সবাইকে একে একে বেঁধে রেখে দেয়। এ সময় তাদের সবারই মুখ বাঁধা ছিলো। পরে তারা আমার মায়ের নিকট থেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘরে ভিতর থাকা বাক্সের চাবি দিয়ে বাক্সে থাকা গরু বিক্রির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও আমার মা ও স্ত্রীর কানে থাকা দুই জোড়া সোনার দুল, হাতের আংটি ও একটি টিকলি নিয়ে আমাদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিরউদ্দীন মৃধা জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক আব্দুস সামাদ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করার প্রস্তুতি চলছে। সাথে সাথে কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শনাক্ত করার জন্য পুলিশ অভিযানে আছে।