কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চাঁদা দিতে অস্বিকার করায় শিক্ষক দিবসে হাজী নাছিরউদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিউর রহমানসহ দুই শিক্ষককে পিটিয়ে শারীরিকভাবে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে কলারোয়া-খোরদো সড়কের ছলিমপুর একে খাঁন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা আহত অধ্যক্ষ শফিউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ও তার সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ মোটর সাইকেল যোগে তাদের নিজ কর্মস্থল উপজেলার ছলিমপুর হাজি নাছির উদ্দীন কলেজে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওই স্থানে পৌছালে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা ছলিমপুর গ্রামের খলিল সরদারের ছেলে মাহবুবুর রহমান, ইয়াসিন বিশ্বাসের ছেলে জুলফিকার আলী বাবু ও একই গ্রামের সাব্বির হোসেনসহ আরও কয়েকজন তাদেরকে গতিরোধ করে থামায়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের নিকট থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এ সময় সাথে থাকা সহকারী অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ বুকুল এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে আহত করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুঠে আসার আগেই ওই সন্ত্রাসীরা রাস্তায় পড়ে থাকা অধ্যক্ষ শফিউর রহমানের প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ টাকা ও মোটরসাইকেলে থাকা ব্যাগে কলেজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ওই সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে কলেজে যেয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে তার নিকট চাঁদা দাবী করে আসছে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় আমার উপর এই হামলা করতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। তিনি আরও বলেন, তার কলেজের বর্তমান সভাপতি তাদের পছন্দের মানুষ হয়নি, আগামীতে কলেজে ৫ থেকে ৭ জন কর্মচারী নিয়োগ আছে। ওই নিয়োগে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিতে স্বীকার না করাসহ বিভিন্ন কারণে কলেজ অধ্যক্ষের সাথে তাদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এসব কারণে তাদেরকে মারটি করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ্যাড. কামাল রেজা জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেই আহত অধ্যক্ষ ও শিক্ষককে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। ইউএনও একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলেও কলেজ শিক্ষক মামুন জানান।