কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্থানি বাহিনী কর্তৃক নির্মম গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টায় দিবসটি পালনে কলারোয়ায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কৃষ্ণা রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, পৌর সভার পক্ষে মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল ও পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন এমপি’র পক্ষে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক পৌর মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল সহ দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা সহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সাইফুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( তদন্ত) তাইজুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এইচএম রোকনুজ্জামান, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার হুমায়ুন কবির,উপজেলা সহকারী আইসিটি কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন, সহকারী অধ্যাপক আবুল খায়ের, সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক আনারুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, প্রভাষক কিশের দাস, আ’লীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম, যুবলীগ নেতা শেখ মাছুমুজ্জামান মাসুম, স্বেচ্ছা সেবকলীগ সভাপতি আসিকুর রহমান মুন্না, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সালাম, ছাত্ররীগ নেতা রাজু, সাঈদ হোসেন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আ’লীগ নেতা, সূধি ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। পরবর্তীতে একই স্থানে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন উপলক্ষ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে ওই দিন রাত ১১ টা হতে ১১-০১ মিনিট পর্যন্ত শহীদদের স্মরণে প্রতিকী ব্লাক আউট করে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা যায়।