কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ প্রতিনিতই বাড়চ্ছে তাপদাহ, তীব্র গরমে কর্মে স্থবিরতা এসেছে। হাঁসফাঁস করতে থাকেন মানুষ। তীব্র গরমে একটু স্বস্থি পেতে মানুষ নানা রকম ফল খাচ্ছেন। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে তালের শাঁসও। জালমুক্ত ও সুস্বাদু তালের শাঁস সতেজ রাখে শরীর-মনকে। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা সদরসহ ১২টি ইউনিয়নের হাটবাজারে তালের শাঁসের বেশ কদর বেড়েছে। সরেজমিনে উপজেলাসদরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মধুমাসের ফল আম, কাঁঠাল, লিচুসহ সবরকম ফল ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে। তেমনি এ গরমে প্রত্যেক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কচি তাল। কচি তালের শাঁস পছন্দ করে না, এমন মানুষ খবই কম। এছাড়া পুষ্টিগুণে ভরপুর মানব দেহের জন্য উপকারী তালেরশাঁস গরমে মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। যদিও কলারোয়া উপজেলায় তালের গাছ তেমন নেই, বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে আমদানি করে আনতে হয়। উপজেলার গ্রাম অঞ্চলে তাল গাছের সংখ্যা খুবই কম। কলারোয়া পৌর সদরের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে, শহীদ মিণার মোড়, পাইলট হাইস্কুল মোড় ও বাসস্টান্ড এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সারি সারি সাজানো কচি তাল। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারেও একই দিশ্য দেখা যায়। কলারোয়া বাজারের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে তালের শাঁস ক্রেতা নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক নারী জানান, প্রতিনিহত তাপতাহ প্রচন্ড বাড়ছে। আর এই তীব্র গরমে প্রত্যেক বিভিন্ন ধরণের ফল খাচ্ছেন। তারমধ্যে তালের শাঁস এই তীব্র গরমের মধ্যে অত্যন্ত ঠান্ডা ও সুস্বাধু। তাই তালের শাঁস কিনে নিয়ে যাচ্ছি বাড়িতে। সেখানে খুচরা বিক্রেতাদের কচি তাল বিক্রি করতেও দেখা গেছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা চড়া দামে বিক্রি করছে তালশাঁস। এ সময় কথা হয় খুচরা বিক্রেতা মফিদুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, বছরের অন্যান্য সময় দিন মজুরের কাজকর্ম করলেও এ সময় তিনি আরও একজনকে সাথে নিয়ে তালের শাঁসের ব্যবসা করে থাকেন। অন্য বছরের তুলনায় পাইকারি বিক্রেতাদের নিকট থেকে চড়া দামে তাঁদের শাঁস কিনতে হচ্ছে। যেকারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়, আকারে বড় তাল ১৫-২০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, প্রতিদিন ১ থেকে ২ হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি করি। এতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মত লাভ হয়ে থাকে, আর এই আয়টুকু দিয়ে সংসারটা আমাদের মোটামুটি ভালো ভাবেই চলে যায়।