কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ সোর্স পরিচয় দিয়ে সাতক্ষীরা কলারোয়ার সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করে রাখা সেই মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবি একাধিক মামলার আসামী আব্দুস সামাদকে (৩৫) নারীসহ তার নিজস্ব কুল বাগানের টোংঘর থেকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কেরেলকাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উপজেলার কাজীরহাট বালিকা বিদ্যারয় সংলগ্ন তার কুল বাগান থেকে তাকে ওই নারীসহ আটক করা হয়। আটক পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ সোর্স পরিচয়দানকারী আব্দুস সামাদ ওইসংলগ্নে উপজেলার ধানঘোরা গ্রামের সহিলউদ্দিনের ছেলে । গ্রাম পুলিশ এজহার রহমান বলেন, পুলিশ ও র্যাবের পরিচয়দানকারী সোর্স হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত আব্দুস সামাদ। তারই কুল বাগানে একটি গোপন কাঠের বেড়া দিয়ে টোংঘর বানানো রয়েছে। স্থানীয়রা দেখতে পায় পার্শ্ববর্তী আটুলিয়া গ্রামের একটি মেয়েকে নিয়ে ওই কুল বাগানে মোটরসাইকেল যোগে প্রবেশ করে। প্রায় ঘন্টা খানেক পর বিসয়টি স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী ভিপিকে তাৎক্ষনিক জানায়। পরে চেয়ারম্যান এসে বিসয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে তাৎক্ষণিক উত্তেজিত হওয়া জনতাকে শান্ত করে ঘটনার নিয়ন্ত্রণে এনে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্দুস সামাদকে ওই নারীসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ইউপি চেয়ারম্যান সম মোরশেদ আলী ভিপি বলেন, এলাকার পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আব্দুস সামাদ সকালে তার কুল বাগানের নির্জন জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দা ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় তাকে নারীসহ আটক করে কলারোয়া থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। ১০নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান বলেন, কথিত ওই পুলিশ র্সোস মামলা মোকাদ্দমার ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে অর্থ বাণিজ্য করতো এবং মাদকসহ বিভিন্ন অনৈতিক ব্যবসার সাথে জড়িত সে তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চায় না আজ ওই মেয়েকে ফুসলিয়ে তার কুল বাগানে নিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত করে এমন বিব্রতকর ঘটনা ঘটিয়েছে। সে যাতে পুলিশ- র্যাবের ফোর্স পরিচয় অথবা প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি অথবা মাদক ব্যবসা করতে না পারে এ জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। আটক হওয়া মেয়ের দাদা ইকরাম আলী বলেন, ওই ছেলে খুবই খারাপ প্রকৃতির। ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়রাও বলছে মেয়ের সাথে অসামাজিক আচরণ করেছে ওই যুবক যুবকের প্রকৃত বিচার পেতে আইনের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আব্দুস সামাদ নামের ওই দালাল কয়েক মাস আগে এক নিরাপরাধ ছেলেকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়েছে। কিন্তু সেই ছেলে ধর্ষণ করেনি। এ মেয়েকে ফুসলিয়ে তার কুল বাগানে নিয়ে তার সাথে অসামাজিক কাজ করে মেডিকেল করে সেই রিপোর্ট ওই যুবকের বিরুদ্ধে পেশ করবে যে কারণে এই মেয়েকে দিয়ে এমন কাজ করানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে প্রকৃত অর্থে তার নাতনীকে ধর্ষণ করেছে কিনা মেয়ের কাছ থেকে শুনেই আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন তিনি। আটক হওয়া যুবক আব্দুস সামাদ বলেন, কুল বাগানে তাকে কুল খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিলাম এতে অপরাধের কিছু দেখছিনা এমনকি মেয়ের সাথে কোন খারাপ আচারণ করা হয়নি। কিন্তু ওত পেতে থাকা শত্র“রা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয় কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, আব্দুস সামাদ নামের ওই যুবকের কাজিরহাটে একটি কুল বাগান আছে সেখানে তাকে নারীসহ স্থানীয়রা আটক করে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবক ও নারীকে থানা হেফাজতে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি স্প্লেন্ডার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে তবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ও মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে মেয়ে বা তার মায়ের কোনো অভিযোগ নেই মেয়ে পূর্বের একটা মামলার বাদী থানায় এসে ওই ছেলের সাথে সখ্যতা পরিচয়ে মেয়েটি ছেলের কাছে বরই খাওয়ার দাবি করলে থানা থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে কাজিরহাট এলাকায় মেইন রাস্তার ধারে তার ফুল বাগানে নিয়ে যাই ছেলেটি সেখানে উৎসুক জনতা তাকে মানহানিকর ভাবে আটক করে। এঘটনায় ছেলের মানহানি হয়েছে বলে দাবি করছে ওই যুবক আব্দুস সামাদ কিন্তু কুল বাগানের গোপন কক্ষে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।