কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারায়ায় বাজার ব্যবস্থাপনায় চরম নৈরাজ্য সষ্টি হয়েছে। ফলে রোজাদার মানুষের জীবনযাত্রা চরম ভাবে বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, নিত্য প্রয়াজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেপরোয়া ভাবে বেড়ে চলেছে। ছোলা, বুট, পিয়াজ, রসুন, আদা, মাছ, প্লাট্রি মুরগীর দাম গেল বছর এসময়ের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোজার মধ্যে গরুর মাংস ৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস কেজিত ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুশুর ও ছোলার ডাল কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা বৃদ্ধি পেলেও মুগের ডাল কেজি প্রতি ৫০ টাকা বদ্ধি হয়েছে। একদিকে দাম বৃদ্ধি আর প্রচন্ড অর্থ সংকট সাধারণ মানুষের খেজুর, আঙ্গুর, আপেল, কমলায় হাত দওয়ার সাধ্য নেই। চিনি ১৫০ টাকা, ভাল আখের গুড় ২০০ টাকা, খেজুর গুড় সাড় ৩০০ টাকা কেজি। স্থানীয় ভাব উৎপাদিত অন্যান্য তরকারির দাম বদ্ধির হার কিছুটা কম। তবে সুযোগ পেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতা সাধারণের পকট লোপাট করতে ছাড়ে না। সরেজমিনে কাজীরহাট পাইকারী হাটে পটল বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি আর ১০০ গজ দূর খুচরা বাজার সেই পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। পাইকারী বাজারের ৩০ টাকা কেজির উচ্ছে পাশে খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। একই বাজারে পাকা মৌ-সন্দেশ কলা ৩০ টাকা কেজি কিনে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ১২ টাকা কেজির রান্নার কলা ২৫/৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সকাল বিকাল এমনকি মুহুর্ত মুহুর্ত বাড়ছে দ্রব্য মূল্য। মানুষ ভেদও দামের পার্থক্য দেখা যায়। কলারোয়া বাজারের সোহাগ হোসেন জানায়, কলারায়া থানার পাশে ১৫০ টাকা কেজির পুটিমাছ ১০০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর এক সাথে কয়েক জন ক্রেতা আসায় সেই পুটির আবার দাম বাড়য় ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়। বাজার এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে মানুষ টালমাটাল বাজারের হিসাব মিলাতে পারছে না। ফলে অনেকে শাক-সবজি কিনে বাড়ি ফিরছে। ফলে কঠিন দূর্বিসহ অবস্থায় মানুষ রোজা ব্রত পালন করছে।