কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। বৃহষ্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের কলারোয়া উপজেলা মোড়স্থ বাসভবন চত্বর থেকে বের হওয়া মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ.সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জান তুহিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু বকর ছিদ্দিক, শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু ও রবিউল হোসেন, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব প্রভাষক সালাউদ্দীন পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু জাফর, আলহাজ্ব বিএম আফজাল হোসেন পলাশ, কলারোয়া সরকারি কলেজের সাবেক জিএস এমএ রব শাহিন, বিএনপি নেতা শওকত হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোশারফ হোসেন, সদস্য সচিব মূসা কারীম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুস সালাম দিলু, সদস্য সচিব দোয়েল, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহাজালাল আহমেদ সাজু, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল, সদস্য সচিব জিএম সোহেলসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পৌর ও ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এদিকে, এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মিছিল করে ছাত্রদল। মিছিলটি পৌরসদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহাজালাল আহমেদ সাজু, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল, সদস্য সচিব জিএম সোহেল, ছাত্রদল নেতা রুহান, আবির হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। উভয় সমাবেশে বক্তারা বলেন, গেলো ১৭ বছর বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে আ.লীগ। আয়নাঘর বানিয়ে শত শত মানুষকে গুম খুন করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আমরা প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার চাই। তারা আরো বলেন, সাবেক এমপি হাবিবসহ চারজনকে রাজনৈতিক মামলায় হাস্যকর ৭০ বছরের সাজাসহ অন্যান্য নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে, তাদের নি:শর্ত মুক্তি চায়। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কলারোয়ায় বিএনপির দলীয় কোন কর্মসূচি করতে দেয়নি স্থানীয় আ.লীগ। আর এখন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কোন অপকর্ম অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করলে দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।