কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধায় আর ভালোবাসায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে উপজেলা সদরসহ ১২টি ইউনিয়নে সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়। বিভিন্ন শহীদ মিনার, শহীদবেদি ও স্মৃতিস্তম্ভ, গণকবর, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পুষ্পার্ঘ অর্পন করা হয়। শ্রদ্ধা জানিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যুষে কলারোয়া কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্বাধীনতা’ পাদদেশে একে একে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, থানা পুলিশ, পৌরসভা, আ.লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, কলারোয়া প্রেসক্লাবসহ সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠন, কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ কলেজ, কাজীরহাট কলেজ, সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল, কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাবলিক ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন সামজিক, অরাজনৈতিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ-প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বয়সীর সাধারণ মানুষরা। পরে কলারোয়া ফুটবল মাঠে হাজারো মানুষের সমবেত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অবমুক্ত করা হয় শান্তির প্রতীক পায়রা। মূল ডায়েসে দাড়িয়ে কলারোয়া বাসীর প্রতি লিখিত ভাষন দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কৃষ্ণা রায়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহকারী কশিনার (ভুমি) রিফাতুল ইসলাম সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া ইয়াসমিন রত্না প্রমুখ। এরপর পুলিশের নেতৃত্বে মার্চ পাস্টের সকালের কর্মসূচী শেষ হয় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা জিয়াউল হক জিয়া, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, মাস্টার শাহাজান আলী শাহিন। পরে ফুটবল মাঠ চত্ত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা শেষে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।