কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভাদ্রের তালপাকা শ্বাসরদ্ধকর গরমে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই দুঃসহ গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে বৃদ্ধ, শিশু, রোগা মানুষগুলোর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। আদিকাল থেকে মানুষ ভাদ্র মাসের তালপাকা গরম; আর পচা ভাদ্র দেখে আসছে। কিন্তু বর্তমান কালে প্রযুক্তির কল্যাণে গ্রামগঞ্জের রাস্তা পাকা হওয়ায় মানুষ পচা ভাদ্রের সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে। আর প্রযুক্তির উন্নয়নে ভাদ্রের তালপাকা শ্বাসরদ্ধকর গরম অনুভব করতে পারেনা। কারণ বেশী গরম অনুভূত হলে মানুষ ফ্যানের নীচে আশ্রয় নেয়। কিন্তু চলতি বছর বিদ্যুতের ভয়াবাহ লোড শেডিংয়ে ভাদ্রের তালপাকা গরম হাড়ে হাড়ে অনুভব করতে পারছে। শহরের বাইরে গ্রামাঞ্চলে কোন কোন দিন ১ ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহের পরের ঘণ্টায় বিদ্যুত থাকে না। কোন দিন মিনিট অন্তর বিদ্যুত যাওয়া আসা করে। আর প্রতিদিন সন্ধ্যায় বিদ্যুতের অভাবে শিশুরা পড়া তো দূরের কথা, বহু শিশু রাতে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রান্না বাড়া নাওয়া খাওয়ায় প্রচন্ড ব্যাঘাত ঘটে। আবার কোন কোন দিন রাতে ২/৩ ঘণ্টার বেশী বিদ্যুত পাওয়া না। রাতে দিনে চলে বিদ্যুতের এই ভেল্কিবাজি। গত কয়েক দিন রাত দিন ২৪ ঘণ্টা গরমের অভাব নেই। কিন্ত দুপর রোদে আর গভীর রাতে প্রচন্ড গরম পড়ছে। বিদ্যুত না থাকায় গরমে মানুষ ঘেমে যায়। দিনে গরম থেকে বাচতে ঘরের বাইরে গাছের ছায়ায় আশ্রায় নিয়ে কেউবা গোসল করে বা ভিজা তোয়ালে দিয়ে দেহ ঠান্ডা করে। কিন্তু চরম বিপত্তি ঘটে রাতে। লোড শেডিংয়ের মধ্যে বালিশ ভেজা ঘামে ঘুম ভেঙ্গে যায়। হাত পাখার বাতাসে কাজ হয় না। শ্বাসের কষ্ট শুরু হয় মানুষের। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু আর রোগাক্রান্ত মানুষ গরমে হাসফাস করতে করতে মরণাপন্ন হয়ে পড়ে। শিশুরা কান্নাকাটি করতে থাকে। আর সকলেই আলাহর নিকট প্রার্থনা করে কবে যে এই দুর্বিসহ গরম থেকে মুক্তি পাব। ফিরে পাব সেই আগের মত নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎত ব্যবস্থা।