কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মার্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৩ পালন করা হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের পরপরই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের করা হয়। সকাল ৭ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ বেদীতে ফুলেল স্তবক অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়, থানা পুলিশের পক্ষে অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিডোদ্ধা সংসদের পক্ষে সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, কলারোয়া প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি শেখ মোসলেম আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন,সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের মানুষ। সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলা জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্ত, বেলুন ও ফেষ্টুন উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করা হয়। পরে সেখানে প্যারেড পরিদর্শণ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লের অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলারোয়া থানা পুলিশ, আনসার সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত ও এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়া বেলা ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। ফুটবল মাঠে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং এর আয়োজন করেন কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এসময় উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা তাহের মাহমুদ সোহাগের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার মধ্যে দিয়ে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং এর কার্যক্রম শুরু হয়। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষায় ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোঃ আব্দুল বারিক, ল্যাব টেকনিশিয়ান আরিফুল ইসলাম ও চম্পা খাতুন। পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়, থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা। উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক ও উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামানের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অধ্যাপক, ছাত্রলীগ, রাজনৈকিত নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, গনমাধ্যমকর্মী, শিক্ষার্থী ও সূধীজন।