কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারি খাদ্য গুদামে চলতি আমন মৌসুমে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ গত নভেম্বর মাসে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কৃষকদের ধান দেওয়ার কোন সাড়া মেলেনি। খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করেননি। ফলে কলারোয়ায় সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আর শেষ হবে আগামী ২৮ ফেব্র“যারী। কিন্তু কিন্তু দীর্ঘ ১ মাস ২৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও সরকারী গুদামে ধান সরবরাহে কোন সাড়া পড়েনি। কারণ পাইকারী বাজারে ধান-চালের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান বাইরে বিক্রয় করছেন। যার ফলে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা মমতাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা ও চাল ৪২ টাকা দরে ৫৯৫ মে.টন ধান ও ৫৭৪ মে.টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চালের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় অর্জন হলেও এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ টন। তবে যেহেতু ২৮ ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত এখনও সময় আছে এরমধ্যে যদি সরকার ধানের দাম পুনঃ নিধর্অরণ করেন তাহলে হয়তো ধানের লক্ষমাত্রা ার্জন করা সম্বব হবে। কলারোয়া উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান জানান, সরকারি দরের চেয়ে বাজারে এখন মোটা ধান প্রতি কেজি ৩২ টাকা, আর মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি গুদামে ধান-চাল দিলে এবার বেশি লোকসান গুনতে হবে। এই জন্য কেউ সরকারি খাদ্য গুদামে ধান চাল দিতে আগ্রহী নন। তবে সরকার যদি বিষয়টি বিবেচনা করে মুল্য পুন:নির্ধারণ করে তাহলে কৃষকরা ধান দিতে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন তিনি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, পাইকারীতে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে কৃষকরা গুদামে ধান দিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি আশাবাদী।