দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ কাঁচা ঝালের বাজার নিয়ন্ত্রনের তথা স্থিতিশীলতা কতদূর? এমন প্রশ্ন ভোক্তা সাধারন সহ জনমনে। দেশের সর্বত্র উৎপাদনের জন্য বিশেষ সহায়ক কাঁচা ঝালের মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা দৃশ্যতঃ দেশের কৃষকদের জন্য অবমাননাকর। কারন আমাদের দেশের কৃষকরা ইচ্ছা করলেই তারা কাঁচা ঝালের উৎপাদন ব্যাপক ভিত্তিক ঘটাতে পারেন। এদেশের কৃষকরা বৃষ্টিতে ভিজে রৌদ্রে পুড়ে সোনার ফসল উৎপাদন করে উক্ত ফসলের মধ্যে বিশেষ ভাবে উলেখ্য খাদ্য, শষ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য শষ্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করছে দেশ,। কাঁচা ঝালের মূল্য বৃদ্ধি, দুষপ্রা®প্রতা রোধে কাঁচা ঝালের আবাদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের অলসতার সুযোগ নেই। আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর, এদেশের মাটি, জলবায়ূ কৃষি উপযোগী অথচ এই দেশের মানুষ কিছুদিন আগে দেখলো কাঁচা ঝালের মূল্য কেজি প্রতি ১০০০/১২০০ টাকা। কিন্তু কেন? গত বছর ও কাঁচা ঝাল কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ৪০/৫০ টাকায়। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে কাঁচা ঝাল উৎপাদনে তথা চাষে খুব বেশী খরচ নয়, অত্যন্ত কম খরচে এই চাষ সম্ভব এবং ফলন ও হয় প্রচুর পরিমানে। কেজি প্রতি ৪০/৫০ টাকায় উৎপাদিত ঝাল বিক্রি করলেও কৃষকরা লাভবান হয়ে থাকে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত কখনও কখনও ঝাল খেতে পানি জমে উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। দেশের কাঁচা ঝালের বাজার নিয়ন্ত্রন করতে, জনসাধারনকে কাঁচা ঝালের আজও অতিরিক্ত মূল্য হতে রক্ষা করতে সরকার কাঁচা ঝাল আমদানীর অনুমতি দিলে সাতক্ষীরা সহ সারা দেশে কাঁচা ঝালের বাজার কমতে থাকে। কিন্তু এক শ্রেনির সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে কাচা ঝালের বাজার স্থিতিশীল তথা ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসছে না এমন আশঙ্কা ভোক্তা সাধারনের। গতকালও সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে কাঁচাঝাল ৩০০/৩৫০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে। এই ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে আমদানী মূল্য অপেক্ষা বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা ঝাল। প্রতিনিয়ত কাচা ঝালের বাজার ওঠানামা করছে। আর এ জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরাই দায়ী। ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের নজরদারী জরুরী।