শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
সুন্দরবনে বিএসএফের রেখে যাওয়া ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর দেবহাটা বিএনপির সদস্য নবায়ন উদ্বোধনী আয়োজনে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ মুন্সীগঞ্জে তাপদাহে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শ্রীউলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ভাড়াশিমলায় ২৫০ প্রান্তিক কৃষানের মধ্যে সবজির বীজ বিতরণ খুলনার সাবেক মহিলা কাউন্সিলর গ্রেফতার বসন্তপুর ফকিরপাড়া জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল

কাজে খুশি নন অফিসার, ৫ পুলিশ লকআপে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এফএনএস বিদেশ : যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পুলিশ সুপার গৌরব মংলা এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করছেন। কাজে সন্তুষ্ট না হওয়ায় বিহারের নাভাদা শহরের এক পুলিশ কর্মকর্তা তার ৫ অধস্তন কর্মকর্তাকে দুই ঘণ্টা লকআপে আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পুলিশ সুপার (এসপি) গৌরব মংলা এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করছেন। তবে তার অধস্তন ৫ কর্মকর্তার লকআপে থাকার একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ৮ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনাটি নিয়ে শনিবার গৌরব মংলার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে রাজ্যের পুলিশ সদস্যদের ইউনিয়ন বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক শত্র“ঘœ পাসওয়ান ও রামরেকা সিং, সহকারী উপপরিদর্শক সন্তোষ পাসওয়ান, সঞ্জয় সিং ও রামেশ্বর উরাওনকে নাভাদা নগর থানার লকআপের ভেতর দেখা গেছে। দুই ঘণ্টা পর মধ্যরাতের দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই এলাকার পুলিশপ্রধান এসপি মংলা বলছেন, অধস্তনদের লকআপে আটকে রাখার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নাভাদা নগর থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক বিজয় কুমার সিং’ও তার বসের কথায় সায় জানিয়েছেন। তবে বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে এসপি মংলা ওই থানায় এসে বিভিন্ন মামলা পর্যালোচনা করেন। এরই একপর্যায়ে এসপি কয়েক কর্মকর্তার কাজে গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের লকআপে ঢোকানোর আদেশ দেন। তবে ওই কর্মকর্তাদের গাফিলতি কী ছিল, সে বিষয়ে সূত্রগুলো কিছু জানায়নি। এ প্রসঙ্গে এসপিও মুখ খোলেননি। অধস্তন ৫ কর্মকর্তাকে লকআপে ঢোকানোর এ ঘটনা পরদিন হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হলেও এসপি একে ‘ভুয়া খবর’ দাবি করেছিলেন। সে পর্যন্ত কোনো ভিডিও বা প্রমাণ না থাকায় ঘটনাটি লোকচক্ষুর আড়ালেই চলে যাচ্ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ হলে পরিস্থিতি বদলে যায়। বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মৃত্যুঞ্জয় সিং ঘটনার বিষয়ে অবগত হওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, ওই ঘটনার খবর পেয়ে তিনি এসপি মংলার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি তার ফোন ধরেননি। মৃত্যুঞ্জয় শনিবার এক বিবৃতিতে ৮ সেপ্টেম্বর রাতের ওই ঘটনার তদন্ত দাবি করেন। “তার কর্মকান্ড জুনিয়র কর্মকর্তাদের হতাশ করেছে,”বলেন মৃত্যুঞ্জয়। এদিকে বিহারের মুখ্যসচিবও সব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে অধস্তনদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে ‘চরম পদক্ষেপের আশ্রয় না নিতে’ নির্দেশনা দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com