দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পুরো গাজা উপত্যকাকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করলেও গাজা ভূ-খন্ডে তারাও প্রতিনিয়ত হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা হামলা ও হতাহতের শিকার হচ্ছে। পরিস্থিতি দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে ইসরাইলের প্রাক্তন ও বর্তমান সামরিক কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে বলেছেন যে গাজা যুদ্ধে ইসরাইল হেরে যেতে বলেছে একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকাগুলো। সামগ্রীক বিবেচনা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষন করে এমনটি স্পষ্ট হচ্ছে যে দখলদার ইসরাইল গাজা যুদ্ধে পরাজিত হতে চলেছে। সামগ্রীক বিষয় বিশ্লেষন করে অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজা যুদ্ধ বন্ধে তথা যুদ্ধ বিরতি বিষয়ে প্রস্তাবনা পেশ করেছে। গতকাল আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, জো বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছে হামাস এরপক্ষ হতে উক্ত প্রস্তাবকে সমর্থন করা হয়েছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে হামাসের পক্ষ হতে বারবার বলা হয়েছে গাজা হতে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে এবং স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করতে হবে সেই সাথে গাজা উপত্যকা হতে বাস্তচ্যুতদেরকে নিজ নিজ বসত বাড়ীতে ফিরিয়ে আসার সুযোগ দিতেহবে। বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদেরকে মুক্তি দেওয়া হবে। গতকাল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব কে হামাস সমর্থন করলেও ইসরাইলের পক্ষ হতে কোন ধরনের মন্তব্য বা বক্তব্য প্রকাশ পাইনি, অবশ্য শনিবার (গতকাল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তাবনা পেশ করেছে আমরা আশা করছি এই প্রস্তাবনা উভয়ের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাব ইসরাইলি সরকারের কারো কারোর কাছে গ্রহনযোগ্যতা নাও পেতে পারে কিন্তু এই প্রস্তাবই উভয় পক্ষকে এক কাতারে অর্থাৎ যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত করার মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে গতকাল হামাস যোদ্ধারা উত্তর গাজার বিভিন্ন এলাকাতে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয় পরিস্থি এতটুকু অবনতি ঘটে যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা তাদের ট্যাঙ্ক ফেলে নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়। বারবার গাজায় ইসরাইলি সেনাদেরকে হামাস যোদ্ধারা সম্মুখ যুদ্ধে আবার কখনও বা ফাঁদে ফেলে হত্যা করছে। গতকাল এমন এক ঘটনার অবতরনা ঘটেছে রাফা শহরের, শহরটির প্রবেশ দ্বারে দখলদার বাহিনীর উপর হামাস যোদ্ধারা মুহুর মুহুর রকেট ও ভারী অস্ত্রের গোলা নিক্ষেপ করলে বিপুল সংখ্যক দখলদার সেনা হতাহতের শিকারহয়। গতকাল রাফা ক্রসিং দিয়ে মিশর হতে ত্রানবাহী যানবাহন প্রবেশ করেছে রাফা শহরে এবং অভূক্ত ফিলিস্তিনিদের মাঝে বিতরন করার জন্য মাইকিং করা হলৌ ইসরাইলি বাহিনীর নির্দেশনাও ঘোষনা দেখামাত্রই গুলির যে হুমকি সে কারনে অভূক্ত ফিলিস্তিনিরা ত্রান নিতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা রাফা ক্রসিং ফিলিীস্তনিদের হাতে সোপর্দ করায় সেখানে ফিলিস্তিনিদের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। রাফা মিশর সড়ক হতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী সরে গেছে বিধায় রাফা মিশর সড়ক এখন ফিলিস্তিনিদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ মিশর ও ইসরাইলের মধ্যে বিরাজমান চরম উত্তেজনা হ্রাসের কোন ধরনের লক্ষন দেখা যাচ্ছে না আর এ কারনে উভয়দেশ স্ব স্ব সীমান্তে সেনা সমাবেশকরেছে। এদিকে লোহিতসাগরে হুতি যোদ্ধারা মার্কিন রতনরিতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে উক্ত হামলায় মার্কিন রনতরির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে অবশ্য তাদের যুদ্ধ জাহাজে হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করেনি। এদিকে গতকাল ও ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব সহ আশপাশের শহরগুলোতে ব্যাপক ভিত্তিক বিক্ষোভ করেছে সাধারন ইসরাইলিরা। হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিদের মুক্ত করনে ব্যর্থতার অভিযোগ সাধারন ইসরাইলিরা নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ ও দাবী করেছে। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গত দুই দিন যাবৎ ইসরাইলের অভ্যন্তরে ব্যাপক ভিত্তিক ক্ষেপনাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি শিকারে পরিনত করেছে। ইসরাইলকে গাজা শহর বর্তমান সমে মৃত্যু পুরীতে পরিনত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনির নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গাজাবাসি চিকিৎসা ও খাদ্যের অভাবে মৃত্যুবরন করছে এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের শেষ ধাপ অধিক্রম করবে।