কালিগঞ্জ অফিস \ সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ এলাকার বহুল আলোচিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী টেমি হাফিজ ওরফে ভন্ড হাফিজ সাতক্ষীরা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে বুধবার রাতে পরস্ত্রী নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় জনরোষে পড়ে এবং পরবর্তিতে উক্ত হোটেল হতে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে। অনৈতিক কাজের সঙ্গী উক্ত নারীর স্বামী আব্দুল কাদের মোলার পর্ণগ্রাফি আইনে ৪৯ নং দায়ের করা মামলায় সদর থানা পুলিশ গতকাল সঙ্গীনি সহ টেমি হাফিজকে আদালতে প্রেরণ করে। চিহিৃত নারী লোভী, প্রতারনা আর চাঁদাবাজিতে রেকর্ডসৃষ্টি কারী, কখনও পত্রিকার সম্পাদক কখনও সাংবাদিক আবার কখনও কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী টেমি হাফিজের পুরো নাম হাফিজুর রহমান। কথিত সাংবাদিক ভন্ড হাফিজের গ্রেফতারের খবরে কালিগঞ্জ এলাকার তার প্রতারনা ও চাঁদাবাজির শিকার জনসাধারনের মাঝে স্বস্তি ভাব পরিলক্ষিত হয়। কালিগঞ্জ হতে সদর থানায় চিহিৃত চাঁদাবাজ কে দেখতে আসা লোকজনের প্রকাশ্য উক্তি ছিল বারবার ঘু ঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধির পরান। আবার অনেকে বলছিলেন চোরের শত দিন গৃহস্তের একদিন। কালিগঞ্জের এক জনপ্রতিনিধি বলেন নারি নিয়ে অবৈধ অনৈতিকতার ঘটনা ইতিপূর্বেও একাধিকবার সে ঘটিয়েছে। কালিগঞ্জ ফুলতলা এলাকার ভাড়াবাড়ীতে ও অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে অবৈধ সম্পর্ক তথা ফুর্তি করার সময় জনতার রোষানলে পড়ে। জনপ্রতিনিধি আরও বলেন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে টেমি হাফিজ কেবল চাঁদাবাজি ব্যবসা করছে তা নয় সে বিভিন্ন মহলে খবরদারি, কর্মকর্তাদের হুমকি, জনপ্রতিনিধিদের নামে বিভ্রান্তকর মিথ্যা প্রচারনা, চালিয়ে আসছে। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে কালিগঞ্জ এলাকার যে নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে টেমি হাফিজ, উক্ত নারীর স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতির সুযোগ গ্রহন করে সুচতুর নারী লোভী ভন্ড হাফিজ সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে তাকে আরও বিষয়ে তোলে এবং কৌশলে নারীর ফোন থেকে বিভিন্ন ছবি হস্তগত করে। প্রথমে সে ঐ নারীর স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করে। এবং হস্তগত ছবি, নারীর বর্তমান অবস্থান স্বামীর সাথে বনাবনি না হওয়া সহ নানান ধরনের ধূর্ততাকে সঙ্গী করে ভন্ড হাফিজ উক্ত নারীকে বাধ্য করে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সাতক্ষীরা সদর থানা ওসি মোঃ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, গ্রেফতারকৃত হাফিজুর রহমানের মোবাইলে ঐ নারীকে ব্লাক মেইল করার মত কিছু ছবি দেখা গেছে, তিনি আরও বলেন উক্ত নারী তার কাছে পরামর্শ গ্রহনের সাথে যোগাযোগ করেন। আমাদের কালিগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত প্রতিনিধিরা জানান ভাগ্যবিড়ম্বীত টেমি হাফিজ ২০০০ সালের পর নিজ গ্রাম চাম্পাফুল ইউনিয়নের মশরকাটি গ্রাম হতে কালিগঞ্জ মোকামে আশ্রয় গ্রহন করে। ফুলতলায় ভাড়া বাড়িতে থাকা শুরু করেন এবং ঐ সময় ২০০৪ সালে নারী সহ ধরা পড়লে স্থানীয় জনগন লাইটপোস্টে বেঁধে রাখে। সেটেলমেন্ট অফিসে দালালী হতে কালিগঞ্জ জীবন শুরু হয় পরবর্তিতে সাংবাদিক হওয়ার সখ জাগলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিকতার কার্ড বুকে ঝুলিয়ে নিজেকে জাহির করার অপচেষ্টা করে আসছিল বর্তমান সময় পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে। এক সময়ে কাঙ্গাল হাফিজ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দালালী, চাঁদাবাজি আর প্রতারনার কারনে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরলে কাঙাল হাফিজ বলে পরিচিতির মৃত্যু ঘটলেও টেমি ভন্ড, প্রতারক হাফিজ হিসেবে নাম ডাক ছড়িয়ে পড়ে, চাম্পাফুল গ্রামের মৃত এলাই বকস এর তিনপুত্র এবং এক কন্যার মধ্যে কাঙাল হাফিজ বড়। পিতার জীবদশায় পিতা তার বেহিসেবী জীবন যাপন বিভিন্ন নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক, সমাজ বিরোধী কর্মযজ্ঞ, সর্বপরি পারিবারিক শান্তির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় পিতা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। গ্রেফতার পরবর্তি থানা হাজতে যেমন কালিগঞ্জ এলাকার ভূক্ত ভোগীরা যেমন তার পরিনতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন অনুরুপ ভাবে আদালতে ব্যাপক সংখ্যক প্রতারিত, নির্যাতিত, জনমানুষ তাকে স্ব চক্ষে দেখেন, টেমি হাফিজকে যখন প্রিজনভ্যানে ওঠানো ও নামানো হচ্ছিল তখন জনতার মধ্যে হতে বিদ্রুপ সহ ঘটনা বলছিলেন এবং পরিনতি সম্পর্কে ও বলছিলেন, কালিগঞ্জের বালু মহল, মুদি ব্যবসায়ী, আম ব্যবসায়ী, সহ মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী, মৎস্য আড়ৎ, ঠিকাদারী কাজ, সর্বত্র তার চাঁদাবাজীর ক্ষেত্র।