কালিগঞ্জ ব্যুরোঃ কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে লাগসই প্রযুক্তি মেশিন ইনকুউরেটর মেশিনে এক সাথে ফুটছে হাজার হাজার দেশী মুরগীর বাচ্ছা। স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স মিন্ত্রি একটি বড় সাইজের ককসিটে একটি টেম্পারেচর সিয়ত্্রন রেগুলেটর যার তাপমাত্রা সব সময় ৩৭.৭ডিগ্রী সেলসিয়াস বিরাজ করবে। এর সাথে আছে একটি পাখা যেটা সব সময় ককসিটের ভিতর তাপমাত্রা কন্টোলে রাখা যার কাজ। এরপর আছে একটি অটো বাল্ব । তাপমাত্রা যখন ৩৭.৭ডিগ্রীর বেশি হবে তখন বাল্বটি অটো বন্ধ হয়ে যাবে। এরুপ একটি মেশিনে প্রতি ২১দিনে ফুটছে প্রায় ১২০টি বাচ্চা। শুধু দেশী মুরগীর বাচ্চা নয় পাতি হাঁস, রাজ হাঁস, রানী হাঁস, চিনের হাঁস, তুরর্কী মুরগীর, দেশী প্রজাতীর সকল রকমের মুরগীর ডিম উক্ত মেশিনে বাড়িতে মুরগী ২১দিন আর হাঁস ২৮দিনে ফুটছে একটি মেশিনে ১২০টি বাচ্চা ফুটছে। আর কোন কোন বাড়িতে একের অধিক মেশিনে উক্ত বাচ্চা ফুটিয়ে পালন করে চলেছে উপজেলার বাড়িতে বাড়িতে শত শত খামারী। এতে একদিকে খামারীদের আর বাহির থেকে খামারের জন্য বাচ্চা কিনতে হয় না। তাতে সাশ্রয় হচ্ছে খামারীদের বাচ্চা ক্রয় বাবদ মোটা অংকের অর্থ। অন্য দিকে আবহাওয়ার সাথে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় খাপ খেয়ে রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতায় টিকে থেকে খামারীরা বেশী লাভের মুখ দেখছে। এমনটিই আমাদের এ প্রতিবেদকের নিকট কথা বললেন খামারী শেখ আব্দুর রহমান, আসমা খাতুন সহ একাধিক খামারী। তারা বলেন আমারা দেশী জাতের মুরগী নিজ বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে মেশিনে ফুটিয়ে বাড়িতে উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের পরামর্শে এক একটি সেটে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ দেশী জাতের মুরগীর বাচ্চা পালন করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেগুলা বিক্রি করি ব্যাপারীর নিকট আর আমরা তাতে অধিক লাভের মুখ দেখছি। আমারদের আশে পাশের অনেকে এটা দেখে তারও উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে। আশে পাশের অনেকেই এভাবেই বাড়িতেই এক সাথে অনেকগুলো ডিম পূর্বের নিয়মে মুরগীর অথবা হাঁসের তা দিয়ে বাচ্ছা ফুটানো সম্ভব না বিধায় তারা এখন এই প্রযুক্তিতে ডিম ফুটিয়ে মুরগী চাষ শুরু করেছেন। অনেকেই আবার শুধু ডিম থেকে বাচ্ছা ফুটিয়ে বিক্রী করে লাভ বান হচ্ছে। সোনালী, বয়লার, পল্ট্রি চাষে খাদ্য খরচে বেশি পড়ে যাওয়ায় খামারীরা লোকসানের হাত থেকে বাঁচার জন্য এরকম পথ বেছে নিয়েছে বলে একাধিক খামারীর সাথে কথা বলে যানা যায়। আর দেশী মুরগীর চাষে রোগ ব্যধির জন্য খরচ ও কম। কারন দেশি মুরগীর রোগ ব্যাধি ও একটু কম হয়। দাম ও অনেক বেশি। ক্রেতাগন দেশী মোরগ মুরগীর চাহিদা করে ক্রয় করেন। আর চাষিদের উৎপাদন খরচ ও কম। তাই কালিগঞ্জ উপজেলা জুড়ে এখন বাড়িতে বাড়িতে মেশিনে দেশী মুরগীর বাচ্চা ফুটিয়ে চাষ চলেছে আর তাতে তাদের পরিবারে ফিরে আসছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। সাথে সাথে দেশের মাংশ শিল্পে ও অবদান রাখছেন এ সব খামারীরা।