শেখ শরিফুল ইসলাম কালিগঞ্জ থেকেঃ কালিগঞ্জ উপজেলার ছনকা গ্রামের আছমা খাতুন উন্নত জাতের গাভী হলেস্টান ফ্রিজিয়ান ১০০ হামার জাতের গাভী পালন করে সাবলম্বি হয়েছেন। তিনি দৈনিক দৃষ্টিপাত কে জানান, গত কয়েক বছর যাবৎ আমারা গরু পালন করে আসছি। উন্নত গাভীর জাত সংগ্রহ করতে অনেকটা দেরী হওয়ায় আমাদেরকে অনেক লোকসান হয়েছে। শুধু তাই নয় কালিগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তাদের ঘড়িমসি ও খামখেয়ালীপনা ও অব্যাবস্থাপনায় এলাকায় এখন গরু পালনে অনেকে অনিহা প্রকাশ করেছে। তারই মধ্য থেকে আমরা অনেক কষ্ট করে এ জাতের গরু সংগ্রহ করে কিছুটা হলে ও সাবলম্বির পথে। গত ২ বছর যাবত আমারা পবিত্র ঈদুল আযহায় বড় জাতের ষাঁড় বিক্রী করে মোটা অংকের অর্থ পেয়েছি। এখন গোয়ালে উন্নত জাতের ষাঁড় সহ দুধের গাভি আছে যাহা থেকে আমাদের পরিবার দুধ সংগ্রহ করে প্রতিদিন নগত টাকা পেয়ে থাকি। তাতের আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।গোয়ালে এখন ২৮ থেকে ৩২লিটার দুধের জাতের বকনা বাছুরে কালেকশন আছে যাহা আমারা প্রায় ১০ বছরের উদ্ধে উক্ত জাতের বাছুর কালেকশন করার চেষ্টা করে ও পায়নি। আর এখন তো গো খাদ্যের প্রচুর মূল্য তার উপর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে আর ও খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি । করোনা কালীন সময় দেশ রতœ শেখ হাসিনার সরকার খামারীদের জন্য প্রনোদনা দিলে ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রানী সম্পদ অফিসের স্বাগতিক বলে পরিচিত এক এক্স স্টাফ, স্থানীয় বাড়ী হওয়ার সুবাদে তিনি আফিসের অন্যান্য স্টাফদেরকে এক রকম জিম্মি করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রকৃত খামারীদের কে বঞ্চিত করে অখামারীদের মাঝে তার ইচ্ছায় সুয়োগ সুবিধা দিয়ে আসতো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রানী সম্পদ আফিসের একজন এসব কথাগুলো জানান। কালিগঞ্জ প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার মোবাইলে ০১৭১২ ৬৬৪৩০৯ বার বার যোগাযোগ করার পর ফোন রিসিফ না হওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে যদি প্রানী সম্পদ অফিসের সঠিক তত্ববধান ও কর্মকান্ড অব্যাহত রাখে তবে প্রকৃত খামারীগন আরও উৎসাহিত হবে এবং এ সম্পদ উত্তরাউত্তর বৃদ্ধি জন্য খামারীগন বিশেষ অবদান রাখবে।