কালিগঞ্জ ব্যুরোঃ প্রথমে দেখলেই মনে হবে এ একটি মৎস চাষের ঘের। কিন্তু পাশে যেয়ে দেখা গেল একটি জনবহুল এলাকার একমাত্র রাস্তা। আর রাস্তাটি হলো গনপতি গ্রামের ডাঃ মুজিব রুবি হাইস্কুলের সামনে রাস্তা। রাস্তাটির একপ্রাপ্ত মিশেছে বসন্তপুর সীমান্তের নৌবন্দরে অপর সংযোগ ঐতিহ্যবাহী নাজিমগঞ্জ মোকামে এবং একটি শাখা যেয়ে মিশেছে নূর নগর রাস্তার সাথে। কালিগঞ্জের গনপতি গ্রামে ডাঃ মুজিব রুবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখ সিএনবি রান্তায় বর্ষার পানি জমে জলদ্ধাতায় ৫টি গ্রামে মানুষের চলাচলের ভোগান্তির হচ্ছে। রাস্তার এক মাথায় বসন্তপুর ই্উনিয়ন ভূমি অফিস, কাষ্টম অফিস, পোর্ট বসন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগ বসন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাঃ মুজিব রুবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাটু পানির উপর দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে হচ্ছে। সরকারী অফিস গুলোতে জনসাধারন সহ সরকারী কর্মকর্তাদেরকে ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। সাথে সাথে নবনির্মিত পিচ ঢালাই রাস্তাটিতে পানি জমে থেকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে খানা খন্দে পরিনত হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হতে চলেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ ৫৫জন স্বাক্ষরীত লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরন করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কালিগঞ্জ মোঃ আজাহার আলীর নিকট প্রেরন ও করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় এসবের মূল কারন হলো গনপতি গ্রামের কিছু মৎস্য ব্যাবসায়ী অপরিকল্পিতভাবে ঘেরের ভেঁড়িবাঁধ দেওয়ায় অতি ও ভারী বর্ষনে পানি নিষ্কাষনে ভাল ব্যাবস্থাপনার জন্য আউট ক্যানেল যথাসামান্ন হওয়ায় পানি নিষ্কাষিত হতে না পেরে জনবহুল এলাকার মানুষের একমাত্র ব্যবহৃত সিএনবি রাস্তাটির উপর হাটু সমান পানি উঠেছে। রাস্তার অপর এক প্রান্তে অবস্থিত গনপতি কমিউনিটি ক্লিনিক তার সামনে থেকে উক্ত জলবদ্ধতার শুরু। অপর প্রান্ত থেকে মা শিশুরা কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসতে হাটু পর্যন্ত পানির উপর দিয়ে আসতে হচ্ছে। পানির মধ্যে কোথা কোথাও গর্ত থাকায় পানিতে পড়ে যেতে ও হচ্ছে। এটি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তাটিতে মটর সাইকেল, সাইকেল, ভ্যান সহ যে কোনা যানবাহন চলাচল দুরুহ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কালিগঞ্জ মোঃ আজাহার আলী দৈনিক দৃষ্টিপাতকে বলেন “আমি ফরওয়াডিং রিপোর্ট নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরন করেছি। স্যারই ব্যাবস্থা নিবেন। কালিগঞ্জ নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান আমরা ওই খানে একটি উপযুক্ত ড্রেইন নির্মান করতে চাচ্ছি। বিষয়টি এখনই খোঁজ নিয়ে দেখছি। রাস্তাটিতে ২বছর যাবতকাল বর্র্ষাকালে ভারি বর্ষনে ২/৩ফুট পানির উপর দিয়ে জনগনের যাতায়াতের ভোগান্তির কারনে জনস্বার্থে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ আকুল আবেদন জানিয়েছেন