শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন

কালিগঞ্জে বিদ্যালয়ের পাশে টাওয়ার স্থাপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে অভিযোগ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২

আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু কালিগঞ্জ\ কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মোবাইলের টাওয়ার বসানোর অভিযোগ উঠেছে মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তপন কুমার ঘোষ গত ৭ জুন স্কুল এলাকায় টাওয়ার স্থাপন বন্ধের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মোবাইলের টাওয়ার বসানোকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সচেতন অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে গেলে একাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা জানান, মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া গ্রামের মৃত নূর আলী গাজীর ছেলে মনিরুল ইসলাম রবি নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন করতে কোম্পানীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। সেই চুক্তির ভিত্তিতে বিদ্যালয় থেকে ২০ মিটারের মধ্যে টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু করেছেন তিনি। টাওয়ার চালু হলে এর রেডিয়েশনের কারণে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ব্রেইন টিউমার, ক্যান্সার, বন্ধ্যাত্ব, নিদ্রাহীনতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়াসহ মারাত্মক রোগসমূহ অকল্পনীয় মাত্রায় বেড়ে যাবে। এতে করে স্বাস্থ্য হীনতায় ভুগবে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এজন্য বিদ্যালয়ের পাশে নির্মাণাধীন রবি মোবাইল টাওয়ারের কাজ চিরতরে বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান সচেতন মহল। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, আমার জমিতে টাওয়ার স্থাপনের কাজ হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যেটি হওয়ার দরকার সেটি হয়তো হয়নি। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার বলেন, স্কুলের নিকটবর্তী রবি মোবাইল কোম্পানি একটি মরনঘাতি টাওয়ার স্থাপনের লক্ষ্যে নির্মান কাজ করছে। এটি এখনই বন্ধ না করা হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত ও স্বাস্থ্যহানি ঘটবে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম অভিযোগের সাথে একমত পোষন করে বলেন, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা সম্পূর্ণ বে-আইনী ও নিয়ম বহির্ভ‚ত। যা ভবিষ্যতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। এটি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com