কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালীগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৯ নম্বর সেক্টরের সেনাদল কর্তৃক ১৯৭১ সালের এই দীনে কালীগঞ্জ থানা মুক্ত ঘোষণা করা হয়। গতকাল কালিগঞ্জ উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শুরুতে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি রহিমা সুলতানা বুশরা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমসহ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সংন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ। এরপর পরই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ১৯৭১ সালে সেনাদল কর্তৃক স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন আজকের দিন, কালিগঞ্জের ইতিহাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। আগামীর বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার শপথ গ্রহণ করার আহ্বান করেন। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে দোয়া করা হয়। পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের হাফেজ ওমর ফারুক। পরে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কে আনন্দ র্যালী শেষে বেলা সাড়ে ১২ টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের কনফারেন্স রুমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুকের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহিমা সুলতানা বুশরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খাঁন আহছানউল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোফাখ্খারুল ইসলাম নীলু। জেলা পরিষদ সদস্য ফিরোজ কবির কাজল সাংবাদিক শেখ আনোয়ার হোসেন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্ছু, এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ, সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।