কালিগঞ্জ প্রতিনিধি \ “শালে বাংগেল, গাদ্দের কে বাচ্চে। তুম লোক কাল রাত মে, মেরে শির পার ইট ফেকা কিউ?” নাটকের এমন দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১ সালের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় রাজাকার, আল বদর ও আল-সামস নামধারী পাক হায়নাদের অত্যাচারের কথা। মহান বিজয় দিবসে কালিগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা পরিষদ মাঠের মুক্ত মঞ্চে সাহিত্যিক ও প্রবান্ধিক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমানের লেখা “কালো সূর্যের নীচে” নাটকে উলেখিত বর্ণনা উঠে আসে। বাঙালী সংস্কৃতি থেকে ঠিক যখনই হারিয়ে যেতে বসেছিল যাত্রাপালা ও নাটক। ঠিক সেই সময় প্রাণবন্ত নাটক উপস্থিত সকল দর্শকদের মুগ্ধ করে। ঘণ্টাব্যাপি এ নাটকে ১৪জন নাট্য অভিনেতা অংশ নেন। মুগ্ধ হয়ে নাটক দেখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা। থানার ওসি হালিমুর রহমান বাবুসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা, প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ দর্শকবৃন্দ। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অংশ গ্রহণকারিদের অভিনয়ে ক্ষনিকের জন্য হলেও আনন্দে ভরে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের মন। এসময় নাটকে অভিনয় করেন, শেখ গোলাম আয়ুব জুলু, সুকুমার দাশ বাচ্চু, এসএম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্চু, আশেক মেহেদী, শম্পা গোস্বামী, শান্তি গোপাল চক্রবর্তী, জিএম, আবু আব্দুলাহ, সৈয়দ মোমিনুর রহমান, ইশারাত আলী, তপন কুমার ঘোষ, এসকে, বাবলু, শহিদুল ইসলাম পুটে, মনোয়ারা খাতুন, আব্দুর রব। বিশিষ্ঠ নাট্য রচয়িতা ও পরিচালক অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান বলেন, এদেশে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রাখতে ও জঙ্গীবাদ প্রতিহত করতে গান, কবিতাই আবৃত্তি যথেষ্ট নয়। ফিরিয়ে আনতে হবে যাত্রাপালা ও নাটক। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাত্রাপালা ও নাটকের সমন্বয় ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। তা’না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভুলে যাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। এজন্য সরকার সহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তির কমিটমেন্ট দরকার।