মথুরেশপুর কালিগঞ্জ প্রতিনিধি \ কালিগঞ্জে মানসিক প্রতিবন্ধী আকবারের ভাগ্যে জোটেনি ভাতার কার্ড। শিক্ষাজীবনে ইংরেজি ভাষা চর্চা করতে গিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারায় আকবর। এখন সে তীব্র মানসিক প্রতিবন্ধী। দীর্ঘদিনেও তার ভাগ্যে জোটেনি প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্র বা ভাতা কার্ড। সে উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের প্রবাজপুর গ্রামের মৃত শেখ লিয়াকাত আলীর ছেলে। বুধবার তার বাড়িতে গেলে দেখা যায়, টিনের ছাউনি একটি ঘরে আকবর আলী বসে আছে। তখন তাকে পাশে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিছুই বলতে পারছে না। সে শুধু মাথা নাড়িয়ে ও হাতের ইশারা বুঝানোর চেষ্টা করে। মুখে বিল বিল করে কি যেন বলছে, তাহা বুঝার উপায় নেই। প্রতিবন্ধীর ভাই শেখ ইয়াছিন আলী সহ এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে আকবর আলী মানসিক প্রতিবন্ধী। সে মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো। এইচএসসি পাশের পর ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চর্চা করতো। এমনকি ইংরেজি ডিকশনারি তার মুখস্থ ছিলো তার। লেখাপড়ার পাশাপাশি খুলনার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতো। কিন্তু সেখানে সে বেশি দিন শিক্ষকতা করতে পারেননি। মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। উন্নত চিকিৎসা করেও তাকে ভালো করা সম্ভব হয়নি। তার পরিবার-পরিজন নেই। এখন তার দেখাশোনা ও ভরণপোষণ করে তার ভাইয়েরা। সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে তার প্রতিবন্ধী পরিচয় পত্র ও সরকারী ভাতা পেতে আবেদন করেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কলিম গাজী বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন আকবর আলী সরকারি ভাতা পাওয়ার যোগ্য। বিষয়টি সম্পর্কে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাকিম বলেন, অসহায় মানসিক প্রতিবন্ধী আকবর আলীর বিষয়টি শোনার পর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনের বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, প্রতিবন্ধীর জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনে আবেদন করা সম্ভব না। তাছাড়া আগে তার প্রতিবন্ধী কার্ড, পরে প্রতিবন্ধী ভাতা।