কালিগঞ্জ ব্যুরোঃ কালিগঞ্জের মালটা চাষি শেখ আব্দুর রহমান সাফল্যের মুখ দেখছেন।তিনি প্রতিবছরের ন্যায় এবার তিনি নতুন পুরাতন মিলে প্রায় ১৫০টি মালটা গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। বছরের শুরুতেই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী বারী ১,বারী ২ পয়সা প্রজাতির মালটা গাছ গুলো নিয়ে নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে চলেছে। গাছগুলোতে ফলন ও আশানারুপ ভাল। এখন প্রত্যেকটি গাছে অসংখ্য ফল দাঁড়িয়েছে। ফল গুলো বেশ বড় হয়েছে। সরোজমিনে দেখা যায় প্রত্যেকটি গাছের চিকন চিকন ডালের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে বেশ মোটা মোটা ফল বাতাসে আপন মনে প্রকৃতির সাথে একাকার হয়ে দোল খাচ্ছে।মধু মাস জ্যৈষ্টির মাঝামাঝিতে মৃদু বাতাসে মালটা গাছগুলো হৃদয় উজার করে ফল দান করে এখন যেন প্রকৃতির সাথ আপন আপন মিলে গেছে। দেখলে মনে হবে এক গাছ অন্যগাছের সাথে খেলায় মেতে উঠেছে কৃষকের মালটা গাছের ফল গুলো।।গাছের প্রত্যেকটি ডাল ফলের ভারে নিচের দিকে নুঁয়ে পড়েছে। চাষী শেখ আব্দুর রহমান দৃষ্টিপাতকে জানান, মহান আল্লাহ চাইলে বাড়ি সহ প্রতিবেশিদের ফলের চাহিদা মিয়েটে বাজারজাত করে অন্যান্ন বছরের তুলনায় এবছর মোটা অংকের টাকার মালটা বাজারজাত করতে পারব।বেশ লাভবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ প্রতিবেদকের সাথে।কাঁচা অবস্থায় একটি ফল কাটার সাথে সাথে রস ভর্তি কোষ বেশ মুগ্ধ করল উপস্থিত সকলকেই।কৃষক আব্দুর রহমানের এ রকম উন্নত জাতের মালটা ফল চাষে সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষকই তাদের বাগানে উক্ত প্রজাতির মালটা চাষে ঝুঁকে পড়েছে।