শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

কালিগঞ্জে মা দূর্গা বিসর্জনের মাধ্যমে কৈলাশে গমন

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩

কালিগঞ্জ ব্যুরোঃ কালিগঞ্জ উপজেলায় বিজয় দশমিতে মা দূর্গাকে বিসর্জন দিয়ে অশ্র“সিক্ত অবস্থায় নিড়ে ফিরলেন মা দূর্গাভক্তবৃন্দ। গতকাল দশমী তিথির শুভ ক্ষণে মা দেবী দূর্গাকে বিদায় জানালেন হিন্দু ধর্মাবলম্বি সস্প্রদায়। উপজেলার ৫১টি সার্বজনীন পূজা মন্ডপ এবং ১টি ব্যাক্তিগত মোট ৫২টি পূজা মন্ডপের ভক্তদের অশ্র“সিক্ত নয়নে বিদায় দিতে দেখা গেল। এবার মা দেবী দূর্গা শান্তির বানী ছড়িয়ে কৈলাশে গমন করলেন। উপজেলা জুড়ে শারদীয় দূর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসনের ছিল নিছিদ্র নিরাপত্তাবলয়। দিনভর হালকা মেঘলা আকাশ আর মৃদু মৃদু ঠান্ডা হাওয়া আগত হামুন ঘুর্নিঝড়ের আগমন বার্তা আর অপ্রত্যশ্যিত ঝড়ের আতঙ্ক সব মিলে বিজয় দশমির বিসর্জনটি একটু আগে ভাগেই সেড়ে ফেরার প্রস্তুতি প্রলক্ষিত হয় প্রত্যেকটি পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দদের মাঝে। প্রত্যেকটি দিন নিঘুম ভাবে কেটেছে উপজেলা প্রশাসনের। উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদ মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা, সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ আজাহার আলী, থানা ওসি মোঃ মানুন রহমান, সহ ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিন রাত্রী অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে পূজা মন্ডপগুলো নজরদ্বারীতে রাখেন। উদ্দেশ্য একটাই যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকার পরিস্থিতি না ঘটে। হিন্দু ধর্মাবলম্বিগন যেন তাদের সবচেয়ে সর্ববৃহৎ ধর্র্মীয় অনুষ্টান শান্তিপূর্ন ভাবে পালন করতে পারে। এটাই ছিল প্রশাসন, জন প্রতিনিধিবৃন্দ সহ সর্ব স্তরের মানুষের কাম্য। গতকাল সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডব পরিদর্শন করে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদ মেহেদী। এদিকে বিজয় দশমিতে উপজেলা ১২টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপের ম্যানেজিং কমিটির নিখুত ও দক্ষতার সহিত প্রশাসনের ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দের সহায়তায় পূর্ব নিদ্ধারিত স্থানে মা দূর্গাকে বিসর্জন দেন।অন্যদিকে বিগত বহুবছর যাবত মিলন মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের হাজার হাজার দর্শনার্থী একত্রিত হয়ে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে থাকেন কালন্দি, ইছামতি ও কাঁকশিয়ালী নদীর ত্রিমহনায় যেটা বর্তমানে বসন্তপুর নৌ বন্দর হিসেবে চালুর অপেক্ষায়। বিগত কয়েক বছর মিলনমেলা না হলেও নদীতে ভারতীয় পাশে অসংখ্য নৌযান ঘুরাঘুরির মাধ্যমে কিছুটা উৎসবমুখর পরিবেশে বিজিবি ও বিএসএফ এর টহলের মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে আসছে, কিন্তু এবছর সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিমা বিসর্জন হলো, তবে দর্শনার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করে জানা যায় তাদের ইচ্ছা পূর্বের ন্যায় দুই বাংলার মিলন মেলার মাধ্যমে বিজয় দশমীর প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হোক, কিন্তু দুর্গাপূজার আগেই বিজেপি ও বিএসএফ দের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন মিলন মেলা ছাড়াই প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে, ২ পাড়ে ছিল হাজার হাজার দর্শনার্থী। নদীতে ছিল না কোন নৌযান তবে প্রশাসনের স্পিরিট বোর্ড ছিল বেশ কিছু যার মাধ্যমে রাখা হয়েছিল কঠিন নজরদারি, অবশেষে দেখা যায় দুই বাংলার দুই পাড়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতির মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন দিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com