কালিগঞ্জ প্রতিনিধি \ কালিগঞ্জে গবেষনামূলক ইনোভিশন আইডিয়ায় বাগদা, গলদা চিংড়ি মাছ ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল কনটেন্টেইন প্রদর্শনের মাধ্যমে মৎস্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা। এই পদ্ধিতিতে মৎস্য খমারে মাছ চাষ করায় অনেকে ইতিমধ্যে সুফল পেতে শুরু করেছেন। মৎস্য কর্মকর্তা দৃষ্টিপাতকে জানায় উপকুলীয় অঞ্চল বাগদা, গলদা ও সাদা বিভিন্ন সু-সাধু মাছ চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। বিশেষ করে কালিগঞ্জ উপজেলার প্রতিটা জলাধার এক একটি সোনার আধাঁর। ্মাটি ও পানি সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে এখানে সোনা ফলানো সম্বব। এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক এবং প্রয়োগমুখী চিংড়ি/কাঁকড়া চাষ ব্যবস্থাপনার উপর ১৯টি গবেষনামুলক তথ্যচিত্র তৈরী করেছি। ইতিমধ্যে উপজেলা মৎস্য অফিসে আগত মাছ চাষীদের জন্য যেকোন ধরনের তথ্য-উপাত্ত তাৎক্ষণিক ও চাহিদা ভিত্তিক প্রদর্শনসহ সমস্যা সমাধানে হাতে-কলমে প্রযুক্তির বিভিন্ন আঙ্গিক বিশ্লেষনের জন্য উদ্ভাবিত কন্টেন্টসমূহ প্রদর্শনের জন্য ৪০ ইঞ্চির টিভির পর্দা স্থাপন এবং “ডিজিটাল মৎস্য ট্রেনিং সেন্টার” হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। বিগত অক্টোবর মাস থেকে এ পর্যন্ত ৪৫জন মৎস্য চাষী, বর্তমানে উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রায় ১০০০টি বিভিন্ন ফর্মমেটের ডিজিটাল কন্টেন্ট রয়েছে। যে কোন মুহুর্ত্বে সেবা গ্রহীতাদের চাহিদা অনুযায়ি সকল ধরণের তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন করার সুযোগ রয়েছে এখানে। এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করা হলে সরকারের মৎস্য প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় কমবে এবং সেবা গ্রহীতাকে হৃদয়গ্রাহী করার মাধ্যমে তার কর্মকান্ড সূচারুরূপে সম্পাদন করা যাবে, অর্থের অপচয় রোধ হবে, উৎপাদন বাড়বে, সময় বাঁচাবে এবং পরিদর্শন কমানোর ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে। মৎস্য কর্মকর্তার আরো বলেন, নিজের তৈরী উদ্ভাবিত কনটেন্ট সমূহের মধ্যে রয়েছে বাগদা নার্সারি ব্যবস্থাপনা, চিংড়ি চাষে পানির গভীরতার গুরুত্ব, মাছ বা চিংড়ি চাষের জন্য প্রিবায়োটিক প্রস্তুতি ও ব্যবহার, মাছ বা চিংড়ি চাষে পিএইচ এর সমস্যা ও প্রতিকার, বাগদা চিংড়ি চাষ ব্যবস্থাপনা, অল্প খরচে অক্সিজেন সরবরাহ, পুকুর অথবা ঘের খননের হিসাব বিবরণী, চিংড়ি চাষে পানি ব্যবস্থাপনা, বাগদা চিংড়ির রোগ ও প্রতিকার, বাগদা চিংড়ি চাষের ধাপসমূহ, খাঁচায় কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ, মাড ক্রাব এর জীব বিজ্ঞান ইত্যাদি।