কালিগঞ্জ ব্যুরো ঃ সারা দেশের ন্যায় কালিগঞ্জে শৈত প্রবাহের হিমেল হাওয়ার জন জীবন বিপদস্থ হয়ে উঠেছে।প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষ কোন কাজ কর্ম ঠিক মত করতে পারছেনা। তারপর ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন বয়সীদের রোগ ব্যাধি বেড়েছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সী ও শিশু নবজাতকদের নিয়ে বেকায়দায় পড়ছে আভিভাবকগন। শীতকালিন ডায়রীয়া শিশুদের প্রতি বছরের নিত্য সঙ্গী। হাসপাতাল গুলোতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে সেবা প্রদানকারীরা। এদিকে দিন মজুরী খেটে খাওয়া মানুষের জন জীবনে পড়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। দিনভর একদিকে ঘন কুয়াশা আর সাথে হাড়কাঁপানো শীত দুই মিলে ব্যাবসা-বানিজ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে। নাজিমগঞ্জের বিভিন্ন শপিং মলে ও বিপনীতে বেচাকেনায় মন্দা প্রভাব পড়েছে। ক্রেতাদের উপস্থিতির হার ও কমেছে শীতের কারনে। অন্যদিকে বরো চাষের বীজতলা গুলোতে প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশর মুখোমুখী হতে হচ্ছে কৃষকদের। ঘন কুয়াশায় রোডে দিনের বেলায় হেট লাইট জালিয়ে ও দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে পারছেনা বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভাররা। প্রচন্ড শীতের কারনে কালিগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজার গঞ্জে ও মানুষের উপস্থিতি অনেক কম ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার কালিগঞ্জের সর্ব বৃহৎ হাট ঐতিহ্যবাহী নাজিমগঞ্জ হাটের বিভিন্ন চিত্র সে কথা বলে দিল। যাই হোক প্রচন্ড শীতে এ বছর কালিগঞ্জে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্রের অভাব লক্ষনীয় দেখা গেছে। উপজেলা ১২ টি ইউনিয়নের অনতীলম্বে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে শীত বস্ত্রের আশু প্রয়োজন আছে বলে অনেক জনপ্রতিনিধি দৈনিক দৃষ্টিপাতকে জানান। মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম এ প্রতিনিধিকে জানান “শীত একটু দেরীতে জেকে বসলে ও শীতে ছিন্নমূল ও গরীব –অসহায় মানুষের শীত বস্ত্রের অভাব রয়েছে। এ ব্যাপারে বিত্তবান ব্যাক্তিগনের এগিয়ে আসার আহব্বান জানাচ্ছি। কাঠুনিয়া রাজ বাড়ী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোঃ মোঃ গোলাম রাব্বানী জানান “এ বছর শীতের কারনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছিন্নমূল ও পথ শিশু সহ গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্রের আশু প্রয়োজন। এ ব্যাপারের উপজেলার প্রশাসন সহ সমাজের বিত্তবান মানুষের এগিয়ে আসার জন্য আহব্বান জানাই”।