বিশেষ প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যস্ত অঞ্চলের হাট-বাজারের অধিকাংশ হোটেল-রেস্তরাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি করা হচ্ছে পঁচাবাসি খাবার। এব্যাপারে উলেখ যোগ্য কোন তদারবি না থাকায় হোটেল মালিকরা মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাস্তার ধারে তৈরী করছে খাদ্য। উড়ে পড়ছে রোগ জিবানুযুক্ত ধুলাবালি। তাছাড়া পরিবর্তন না করে একই তেলে প্রতিদিন ভাজা হচ্ছে পরোটা, মগলাই, চপ, পিয়াজু, ছোলাসহ নানা প্রকার খাদ্য। পঁচাবাসি খাবার কিনে প্রায়ই হোটেল মালিকদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে ক্রেতাসাধারণ। একদিনের খাদ্য বিক্রি না হলে পরের দিন তা গরম করে বিক্রি করা হয় বলেও জানা গেছে। অনেক হোটেলের কর্মচারী নোংরা পোষাকে খাবার সরবরাহ করে থাকে। নিয়মনুযায়ী পরিস্কার করা হয়না প্লেট/গ্লাস। যে কর্মচারী প্লেট/গ্লাস পরিস্কার করে সেই কর্মচারী আবার খাবার পরিবেশনক করে থাকে। বিষেশ করে হোটেল রোস্তরার রান্নাঘরগুলে দেখলে যেকোন বিবেকবান মানুষেকে ব্যাথিত করে তুলবে। এদিকে নলতা হাটখোলার মোবাইল গার্ডেন এর মালিক মোঃ আকরাম হোসেন জানান, তিনি গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নলতা আহ্ছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজ সংলগ্ন একটি মিষ্টির দোকান থেকে ১৭৫টাকা দিয়ে ৫’শ গ্রাম মিষ্টি কেনেন। কিন্তু মিষ্টিগুলো পঁচা-বাসি ও দূর্গন্ধ হওয়ায় তা খেতে পারেননি। এছাড়াও ইন্দনগরের মোঃ শহিদুল ইসলাম জনান, তিনিও ২দিন আগে উলেখিত ঘোষ ডেয়ারী থেকে ৩৭৫ টাকা দিয়ে দেড়কেজি মিষ্টি কিনে একই রকম বিপদে পড়েছেন। তিনিও মিষ্টিগুলো খেতে পারেননি এবং বিষটি কালিগঞ্জ উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুস সোবহানকে জানিয়েছেন বলেও জানান। এদিকে কাজলা হাটখোলার আছিয়া ডাক্তার খানার গ্রাম ডাঃ শেখ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, একই তেলে বার বার ভাজা বা পঁচা-বাসি খাবার খেলে মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের রোগাক্রাস্ত হয়ে পড়বে। তাই যাতে হোটেল মালিকরা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না ও খাবার পরিবেশন করে এবং পঁচা-বাসি খাবার বিক্রি বন্ধ করে সেজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন ভুক্তভোগী ক্রেতাসাধারণ।