আবু ইদ্রিস শ্যামনগর থেকে \ নিম্ন চাপের কারনে দিনভর কখন হালকা কখন ভারি বৃষ্টি অন্যদিকে নদীর প্রবল জোয়ার সীমান্তত নদী কালিন্দিতে পানি বৃদ্ধির কারন। নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় গতকাল ভেড়িবাধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে এমন দৃশ্য স্থানীয় অনেকে ছবি তুলেছে ভিডিও করেছে।পানি ভিতরে প্রবেশের কারনে কৈখালী ইউনিয়ন জুড়ে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন টি তিন পাশ কালিন্দী নদী বেষ্টটিত ভেড়ি বাধ ভাঙ্গন সমস্যায় জর্জরিত।যে কোন সময় ভেড়ি বাধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে কৈখালী ইউনিয়ন সহ পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন। প্লাবিত এলাকায় ক্ষতি গ্রস্থহবে কাচা ঘরবাড়ি, হাজার হাজার বিঘার মৎস্য ঘের সহ জানমালের। কৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালীর বিজিব,ও ফরেস্ট অফিস, নৌকাটি সংলগ্ন ভেড়িবাধপ দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবি খারাপ।যার ফলে বাধ উপচে লোনাপানি ভিতরে ঢুকছে এমন মন্তব্য জন প্রতিনিধিদের। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শেখ আব্দর রহিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি সংশ্লিষ্ট প্রশানের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি তারা পর্যায় ক্রমে ভেড়ি বাধে কাজ করবেন এমন আশ্বাস দিয়েছেন। কাজের ব্যাপারে আশ্বাসে সীমাবদ্ধ থাকলে ক্ষতি গ্রস্থ হবে এলাকার জনসাধারণ। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দীর্ঘ সময় পেল ভেড়ি বাধে কাজ করার। কিন্তু কাজের সেরকম অগ্রগতি হয়নি।কাজ হয়েছে কিছু কিছু ভেড়ি বাধ ভাঙ্গন কবলিত স্থানে। বাকি ভেড়ি বাধ জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন।কবে হবে ভেড়ি বাধ সংস্কার? বাধ ভাঙ্গার পরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। শুরু হয় দৌড় ঝাপ কাজের পরিধি বাড়ানোর।ব্যাপারটা যেন হস্য রসে পরিনত হয়েছে। প্লাবিত এলাকায় ত্রান নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় বিভিন্ন মহলের।ত্রানের প্রয়োজন হত না যদি ঠিকঠাক সময়ে ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান হয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ভেড়ি বাধ ভাঙ্গন বিষয়ে আন্তরিক হলে সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ করলে ভাঙ্গন সমস্যা থেকে ইউনিয়ন বাসিকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করেন শুশিল সমাজ।