দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক গাজায় যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব দখলদার ইসরাইল না মেনে নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর নির্বিচারে বিমান হামরা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে। আর এ কারনে জাতিসংঘের পক্ষহতেদখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামগ্রীক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সংস্থাটির মানবাধিকার পরিষদের প্রস্তাবে সর্বসম্মতি ক্রমে পাশ হয়েছে যে বিশ্বর কোন দেশ ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রয় করতে পারবে না। এখানেই শেষ নয় ইসরাইলের ইতিপূর্বেকার জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করা বিভিন্ন পদ পদবি হতেও ইসরাইলকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এদিকে দখলদার ইসরাইল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত না মেনে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করলে আবারও যুদ্ধ বিরতি আলোচনা শুরু করেছে। গতকাল মিশরের রাজধানী কায়রোতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব নিে আনুষ্ঠানিক আলোচনাশুরু করেছে। ইসরাইলি প্রতিনিধি, হামাসপ্রতিনিধি মিশর ও কায়রো প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহনে আলোচনা শুরু হয়েছে। গাজায় যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব নিয়ে ইতিপূর্বে একাধিক বার আলোচনা গলেও যতবারই আলোচনা ব্যর্থ হেেছ ততোবারই তার জন্য দৃশ্যতঃ ইসরাইল দায়ী। হামাস বারবার বলে আসছে গাজা হতে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার ইহলোযুদ্ধ বিরতির অন্যতম শর্ত। ধারনা করা হচ্ছে এবারের আলোচনা ফলপ্রসূ হতেপারে কারন ইসরাইল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়া যুদ্ধ বিরতিনিয়ে প্রচন্ড চাপের মধ্যে আছে। এদিকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দী যার ও এক ইসরাইলির মৃত্যু ঘটেছে। ইসরাইলের অব্যাহত হামলা আর গুলি বর্ষনে সেই সাথে প্রচন্ড খাদ্য অভাবের কারনে উক্ত ইসরাইলি পন বন্দীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হামাসের পক্ষ হতে আবারও বলা হয়েছে ইতিপূর্বে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে একাধিক বার সতর্ক করেবলা হয়েছে হামলা বন্ধ না হলে এবং ত্রান সরবরাহ স্বাভাবিক না রাখলে আমাদের হাতে আটক পন বন্দীরা মৃত্যু পথে চালিত হতে পারে। মৃত ইসরাইলির একটি অডিও ইতিমধ্যে ইসরাইল বাহিনীর হস্তগত হয়েছে। উক্ত ভিডিও বার্তায় মৃত ইসরাইলি সেনা জানিয়েছে গাজায় যুদ্ধ বিরতি কার্যকর না করা ও আমাদেরকে মুক্ত করতে না পারার দায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সহ তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার। এদিকে পণ বন্দী ইসরাইলির মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল ইসরাইলের সর্বত্র নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে নিহত পন বন্দীকে ইসরাইলি সেনা বাহিনী দুই দিন পূর্বে খান ইউনিস এলাকা তারলঅশ উদ্ধার করে। এদিকে গতকাল ও হামাস যোদ্ধারা খান ইউনিসের আলসিফা হাসপাতাল কমপ্লেক্স এলাকাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে প্রতিরোধ হামলায় জড়িয়ে পড়ে। ইসরাইলি বাহিনী প্রতিনিয়ত ফিলিীস্তনিদেরকে হত্যা করে চলেছে কিন্তু তারাও স্বস্তিতে নেই ইসরাইলি বাহিনী কারন হামাস যোদ্ধারা প্রতিমুহুর্তে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে হামলার ফাঁদে ফেলছে এবং বিপর্যস্থ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরাইলের অন্ততঃ পাঁচ সহস্রাধীক সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং হাজার হাজার ইসরাইলি সেনা মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ও প্রতিবন্ধী পুনরাবাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহন করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গত কয়েকদিন যাবৎ ইসরাইলের ভু-খন্ডে ক্ষেপনাস্ত্র হামরা পরিচালনার করছে একই সাথে ইসরাইল ও লেবাননের অভ্যন্তরে ড্রোন হামলা সহ ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। গতকাল হিবুল্লাহ গেরিলারা ইসরাইলের একটি ড্রোন ভুপাতিত করেছে। লোহিত সাগরে হুতি যোদ্ধারা ইসরাইল সহ ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজ গুলোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে। গাজায় ত্রান বিতরনে অংশ নেওয়া সাত ত্রান কর্মিকে গুলিকরে হত্যঅর ুিবষয়ে ইসরাইল দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং উক্ত ঘটনায় জড়িত দুই ইসরাইলিসেনাকেবরখাস্থ করেছে।এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার কারনে ফিলিস্তিনিরা বিদেশী সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত ইফতারি সংগ্রহে যাচ্ছে না কারন ইসরাইলের হামলার কারনে। তবে আল আকসামসজিদে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উপস্থিত হয়ে ইফতারি,সেহরী সহ নামাজ আদায় করছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর কোন ধরনের বাঁধা এবং নির্যাতন, নিপিড়ন এক্ষেত্রে বাঁধা হচ্ছে না।