রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কলারোয়ার তুলসীডাঙ্গায় বিএনপির মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে সভাপতি আসাদুল্লাহ, সম্পাদক হাফিজুর ব্রহ্মরাজপুরে সেলুন মালিক কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন সভাপতি শম্ভু সম্পাদক মানিক সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সভা সাতক্ষীরা স্কাউটস্ ত্রৈ—বার্ষিক কাউন্সিল কমিশনার শাহজাহান সম্পাদক মনোরঞ্জন পুরাতন সাতক্ষীরা সরলাপাড়া যুব সংঘের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল পীরমাতা ব্লাড ব্যাংক নলতা শরীফ’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত আশাশুনির খাজরা ও বড়দল সীমান্তে কালকী স্লুইস গেট পরিদর্শনে রবিউল বাশার শ্যামনগরে মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় চালক নিহত ও আহত ১ কালিগঞ্জে সু—নাগরিকের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

কিডনি রোগীরা অসহায়: আতঙ্ক রোগী ও স্বজনরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ সাতক্ষীরার বিশ লক্ষাধীক মানুষের চিকিৎসা সেবার মাধ্যম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বহুমুখি চিকিৎসা সেবার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলা জেলা বাসির স্বপ্ন সাধ পুরনের অবারীত ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হওয়া এই চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানটি কিডনি রোগীদের মৃত্যু পথে বসাতে চলেছে। সরাকরি ভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উনশিটি কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিন সরবরাহ করা হয়। জেলার কিডনি রোগীদের পাশাপাশি জেলার বাইরের কিডনি রোগীরাও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটের মাধ্যমে কিডনি ডায়ালাইসিস করে জীবন রক্ষা করে আসছিলেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কম খরচে প্রান্তীক পর্যায়ের হত দরিদ্ররা বিশেষ করে কিডনি রোগীরা ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে ভালই ছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবৎ কিডনি রোগীদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম ঘটেছে। গত বুধবার সংশ্লিষ্ট ইউনিট হতে রোগীদের জানানো হয় সপ্তাহে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন করে ডায়ালাইসিস করা হবে। এই খবরে রোগীদের পাশাপাশি রোগীর সজ্বনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং আতঙ্ক সেই পরিস্থিতি অব্যাহত আছে। অত্যাধুনিক এবং মানসম্মত মেশিন গুলো কবে কিভাবে নষ্ট হলো এবং জীবন রক্ষাকারী মেশিন গুলো দ্রুততার সাথে মেরামতের ব্যবস্থা করা হলো না কেন? এমন প্রশ্ন জনমনে। উনিশটি মেশিনের মধ্যে ষোল, সতেরটি মেশিন পুরোপুরি নষ্ট। দুই/তিনটি মেশিন দিয়ে কোন ক্রমে চলছে কিডনি ডায়ালাইসিস কার্যক্রম। শতাধিক কিডনি রোগীকে মৃত্যুমুখে ফেলে দেওয়ার দায় কে নেবে? একদিনে তো সতেরটি মেশিন নষ্ট হইনি। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে দীর্ঘ চার/পাঁচ বছরে ক্রমান্বয়ে নষ্টহতে থাকে মেশিন গুলো। কিন্তু মেরামত করার ক্ষেত্রে কতটুকু আন্তরিকতা বা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তা দিনের আলোর মত স্পষ্ট। মেশিন গুলো নষ্ট হওয়ায় কিডনি রোগীরা কেবল কাঙ্খিত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে তা নয় সরকারি সম্পদ অযত্নে, অবহেলায় অথবা দেখভালের অভাবে নষ্ট হয়েছে এ দায় কর্তৃপক্ষ কোন অবস্থাতেই এড়াতে পারে না। রোগীরা আগেই আচ করতে পেরেছিলেন আগামীতে তাদের জন্য মহা বিপদ অপেক্ষা করছে কারন তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছিলেন তাদের জীবন রক্ষাকারী মেশিন গুলো নস্ট হয়েছে এবং হচ্ছে। রোগী ও তাদের স্বজনরা মেশিন সারাই এর তাগিদ দেন একাধিকবার পরিচালককে কিন্তুকোন কোন কাজ হইনি। মেডিকেল কলেজের একাধিক সূত্রে জানায় সময় মত অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে জানানো হলে এতোদিনে নষ্ট হওয়া মেশিন গুলো সারাই করানো সম্ভব হতো। সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের কিডনি ডায়ালাইসিসমেশিন গুলো চালনায় নিশ্চয়ই জনবল নিশ্চিত করা হয়েছে। দক্ষ কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন বিশেষজ্ঞরাই মেশিন পরিচালনা করবেন এটাই বিধি এবং নিয়ম এক্ষেত্রে কতটুকু বলার সুযোগ যে অদক্ষরাই মেশিন পরিচালনা করছেন বা করতেন। তারা তো যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত, আর তারা যদি অদক্ষ হন তাহলে তাদের হাতে সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যের মেশিনতুলে দেওয়া হলো কেন? রোগী ও স্বজনদের প্রশ্ন মেশিন নষ্ট হতেই পারে প্রয়োজন যথা সময়ে সরাই করা। জেলার গরীব অসহায় কিডনি রোগীদের তো বেসরকারি হাসপাতালে যেয়ে বেশী বেশী অর্থ খরচ করে কিডনি ডায়ালাইসিস করার সক্ষমতা নেই। অবিলম্বে মেশিন গুলো মেরামত না হলে নিশ্চিত সাতক্ষীরার কিডনি রোগীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে এমন আশঙ্কা রোগী ও তাদের স্বজনদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com