এফএনএস বিদেশ : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে গতকাল শনিবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিয়েভের ডিনিপ্রোভস্কি জেলায় এই হামলা চালানো হয়, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর বর্ণনা দেয়া হয়নি।বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সকালে কিয়েভ জুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর আগে কিয়েভে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্কো বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুবিধার উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে জুরুরি সংস্থাগুলো ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। কিয়েভের সামরিক প্রশাসন বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলেছে। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে লিখেছেন, আপনার আশ্রয়কেন্দ্রে থাকুন। তিনি বলেন, একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ কিয়েভের পশ্চিমে হলোসিভস্কি জেলার একটি অনাবাসিক এলাকায় পড়ে। এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সোলেডার শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। টানা কয়েকদিন ব্যাপক যুদ্ধের পর শুক্রবার খনিজ লবণ সমৃদ্ধ শহরটিতে বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখান করেছে। শহরটি দখলে নিতে এক মাস ধরে তীব্র লড়াই করে আসছিল রুশ বাহিনী। সোলেডার দখলের ফলে পার্শ্ববর্তী বড় শহর বাখমুটে ইউক্রেনের রসদ সরবরাহ আটকে দেয়া এবং সেখানকার ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অবরুদ্ধ করে ফেলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। সেইসঙ্গে সোলেডার শহরের লবণ-খনির শহর সোলেডার গভীর সুড়ঙ্গগুলোকে ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ঢুকতে ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া। উলেখ্য, রাশিয়া সা¤প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। মূলত, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ¦ালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।