দেবহাটা অফিস \ গতকাল ছিল ২৬ জানুয়ারি দেবহাটার জনমানুষের জন্য এক বেদনা বিদুর, শোকাহত দিন। ২০১৪ সালের সেই বিভিষিকাময় রাতে দেবহাটার মেধাবী ছাত্র নেতা, ইসলামী বিপ্লবের অগ্রসৈনিক বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপজেলা শাখার সেক্রেটারী আবুল কালামকে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেত্মা গুলি করে হত্যা করে ছাত্র সমাজের আশার প্রতিক আবুল কালামকে। সেদিন দেবহাটার মাটি বীর শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। কুলিয়ার মাটিতে জন্ম নেওয়া শহীদ আবুল কালামের মেধা, সৃষ্টিশীলতা, আদর্শ, নৈতিকতা সর্বপরি ইসলামী বিপ্লবের প্রতি প্রতিশ্রম্নতি ছিল। একই দিনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দুশমনরা, পেটুয়াবাহিনীর সদস্যরা জামায়াত কর্মী মারুফ হোসেনকেও হত্যা করে। হত্যাকান্ডের নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছিল। দীর্ঘ বছর পর ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর শহীদ মারুফ হোসেনের ভাই মো: মোককুর হাসান বাদী হয়ে হত্যার বিচারের আশায় মামলা দায়ের করেছে। গতকাল শহীদ আবুল কালাম ও শহীদ মারুফ হোসেনের জন্মস্থান কুলিয়ায় জামায়াত ইসলামীর উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নিজ গ্রামের মাটিতে দীর্ঘ দশ বছর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে শহীদ মিনার চত্ত্বরে জামায়াত ও শিবির নেতা কর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি ঘটে। কুলিয়া আমীর মাও: আব্দুল গফ্ফারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন নেতা কুলিয়ার কৃতি সন্তান জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ও যুব বিভাগ সভাপতি প্রভাষক ওমর ফারুক, জামায়াত ইউনিয়ন সেক্রেটারী মাও: সাদিকুল ইসলাম ও উপজেলা শিবির সেক্রেটারী সাফায়েত হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াত আমীর শিক্ষাবিদ মাও: অলিউল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাও: রুহুল আমীন, ছাত্র শিবিরের জেলা সেক্রেটারী জুবায়ের হোসেন, হাফেজ সোহরাব হুসাইন, জামায়াত নেতা রুহুল আমীন, মাও: আনোয়ারুল ইসলাম, মাছুম খান চৌধুরী, মাও: নুরুল ইসলাম, মোজাহিদুল আলম, মাও: ইয়াকুব আলী, আব্দুল হালিম, হাফেজ আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।