কুশোডাঙ্গা (কলারোয়া) প্রতিনিধি \ কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গার চলতি ইরি মৌসুমে ব্যাপক হারে জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকের পরিচর্যায় মাঠের ধান পেকে গেছে। সোনালী বর্ণে আর শীষে ধানগুলো কৃষকের উঠানে যাওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। কলাটুপি গ্রামের মোঃ ওজিয়ার জানান, ৫ ঘন্টায় মুজুরি দিতে হচ্ছে ৮শ করে। অতিরিক্ত মূল্য দিয়েও অনেক কৃষক শ্রমিকদের কাজে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। সোমবার ৯ মে সকালে কুশোডাঙ্গার বিভিন্ন ইরি ধানের ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় মাঠের ধান পেকে গেছে। সোমবার কাটা ধান বৃষ্টিতে ভিজে গেছে এছাড়া কয়েক দিন আগে ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু জমির পাকা ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কৃষক জরুরি ভিত্তিতে এসব মাটিতে পড়ে যাওয়া জমির ধান কাটছেন আগে। প্রতি বছর ইরি মৌসুমে দক্ষিনাঞ্চল থেকে আসা শ্রমিকের সংখ্যা এ বছর চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ফলে বিঘাপ্রতি ধান কাটা-মাড়াইয়ে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আবার অনেক শ্রমিকদের চাহিদা আরও বেশি। ফলে ধান লাগানো থেকে কাটা-মাড়াই করতে যত টাকা খরচ হচ্ছে, তাতে লাভের চেয়ে লোকসানের সম্ভাবনায় বেশি বলে মনে করছেন চাষিরা।