এফএনএস: কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি-সংযোজনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। গতকাল বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে এ আশ্বাস দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার কৃষিযন্ত্রে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। আগামীতে বাংলাদেশ প্রচুর কৃষি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতের কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারে। ভারতের হাইকমিশনার জানান, ভারতের মাহিন্দ্রাসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থাপন করতে পারে সে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তারা যেন স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি ও অ্যাসেম্বল এবং খুচরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া তিনি দুদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগ্রহের কথা জানান। কৃষিমন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও পাটবীজের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, এ বছর ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ এনে দেশে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কৃষিমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ, বীজ প্রযুক্তি, কাজুবাদাম, কফিসহ উন্নতজাতের চারা সরবরাহ, এগ্রো প্রসেসিং, ন্যানোটেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি এবং সন্ত্রাস-সা¤প্রদায়িকতা মোকাবিলা, মাদক ও মানব পাচার রোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা চান। এ সময় দুই দেশের মধ্যে কৃষি, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি প্রভৃতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাস, আন্দোলন, হরতাল, অবরোধ, গণসমাবেশ করে বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী ১১ তারিখ (১১ জানুয়ারি) না, আগামী ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যেও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বিএনপি। মন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ তারিখ (১১ জানুয়ারি) বিএনপি আন্দোলনের নামে যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগ তৎপর থাকবে। দলের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারকে সহযোগিতা করবে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিদেশি বা রাষ্ট্রদূতদের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা অনেক কমে এসেছে। একসময় হ্যারি কে টমাসের মতো অনেক রাষ্ট্রদূতেরা এদেশে নিজেদের কিং বা রাজা মনে করতেন, এখন এই পরিস্থিতি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ও আর্থিক অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশ আজ অনেক মর্যাদাশীল জাতি। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপির ধর্না দেওয়া বা হাত পাতা জাতির জন্য মর্যাদার নয়। এটিকে সহজভাবে মেনে নেওয়া যায় না।