কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি \ কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরে চলাচলের রাস্তা নিয়ে উভয় গ্রুপের রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে । স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছে।২৫ জানুয়ারি শনিবার সকাল ৬ টায় মানপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে বলে উভয় পক্ষ জানিয়েছে।গুরুতর আহত হয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে মানপুর গ্রামের আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে ইয়াকুব আলী (৫৩) ইয়াকুর আলীর ছেলে মনঞ্জুর হোসেন (২৮), মৃত ছদর গাজীর ছেলে আব্দুল করিম গাজী (৬৫), ইয়াকুব আলীর ছেলে শামীম হোসেন মুন্না (২৪), ফজলু গাজী ছেলে জুলফিকার (২৮) আল মামুন হোসেন (২৪), নুর হক মোড়লের ছেলে হাসানুজ্জামান বাবু (২৪), জলিল গাজীর স্ত্রী রেহানা খাতুন (৩৫)
চিকিৎসাধীন মনিরুল ইসলাম দৃষ্টিপাত প্রতিনিধিকে জানান আমার প্রতিপক্ষ মাহবুবর গংদের সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল যার সূত্র ধরে গত রাত্রে আমাদের জমি তারা ৩০/৩৫ জন ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী দ্বারা জোর পূর্বক দখল করে নেয় এবং আমাদের ফলজ বৃক্ষ সহ অনেক গাছ গাছালি কেটে দেয় ও আনুমানিক ১১ লক্ষ টাকা ক্ষতি করে চলে যায় । ভোরে পথচারীরা আমাদেরকে জানায় তোমাদের জমি দখল করে নিচ্ছে আমরা দ্রুত এগিয়ে গেলে আমার প্রতিপক্ষরা আমাদেরকে রড, দা, শাবল লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে রক্তাক্ত যখম করে ফেলে রেখে চলে যায় । অপরপক্ষ আহত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন মানপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র মেহেদী হাসান (২৪), মৃত বেলায়েত গাজীর পুত্র নজরুল ইসলাম (৪৫) ,তার ভাই শফিকুল ইসলাম (৫০), মৃত ইসহাক আলীর পুত্র আব্দুর রাজ্জাক (৭৫), মৃত বেলায়েত গাজীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৫৫) , আব্দুল হকের স্ত্রী শাকিলা বেগম( ৩৫), শফিকুল ইসলামের পুত্র জয়নগর মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত হোসেন, আব্দুল বারী গাজীর পুত্র গোলাম মোস্তফা (৪০)। হাসপাতালে আব্দুর রাজ্জাক, শফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান তাদের সঙ্গে একই গ্রামের ইয়াকুব গংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল । উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোরে তাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয় । পথ বন্ধ করার প্রতিবাদ করায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মানপুর গ্রামের মৃত খালেকের পুত্র ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মনিরুল ইসলাম (২৫) মুন্না (২২) মামুন (২৩) জুলফিকার ৬/৭ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ হাতে দা ,লোহার রড, শাবল নিয়ে অতর্কিতভাবে কুপিয়ে, পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে । ওই সময় গ্রামবাসী তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় কালীগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায় । সংঘর্ষের বিষয়ে মানপুর গ্রামের ইউপি সদস্য জামাল ফারুক দৃষ্টিপাত প্রতিনিধিকে জানান আমি উভয়পক্ষকে বিরোধ মীমাংসার জন্য দিন ধার্য করি কিন্তু মাহবুব গংরা আমার আহবান কে প্রত্যাখ্যান করে এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।